Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ০৩:৪৭, ২৮ মার্চ ২০২৫

তারেক রহমানের ‘গ্রিন গ্রোথ’ পলিসি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাইলট প্রকল্প

তারেক রহমানের ‘গ্রিন গ্রোথ’ পলিসি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাইলট প্রকল্প
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পলিসির আলোকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি সরকার একটি বিশেষ পাইলট প্রকল্প চালু করেছে, যার নাম ‘গ্রিন গ্রোথ’। প্রকল্পটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এবং এটি নিউজার্সির আটলান্টিক সিটিতে দুই বছরব্যাপী পরিচালিত হবে।

এ প্রকল্পের মূল স্লোগান হিসেবে নেয়া হয়েছে ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দিবে স্বচ্ছলতা’—যা মূলত জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) বহুল আলোচিত স্লোগান। প্রকল্পের সবকটি কার্যক্রম, গাড়ি, ব্রুশিয়ার, সদস্য ফর্মসহ বিভিন্ন জায়গায় এ স্লোগানটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

গ্রিন গ্রোথ প্রকল্পটি মূলত আটলান্টিক সিটির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে লক্ষ্য রাখছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম বছরে ৩০ জন নারীকে বরাদ্দ দেয়া হবে, যারা নিজেদের বাড়ির আঙিনা, খোলা জায়গা বা বারান্দার টবে সবজি উৎপাদন করবেন। এসব উৎপাদিত সবজি পরিবারের চাহিদা মেটানোর পর বাজারে বিক্রি করা হবে।

গ্রিন গ্রোথ প্রকল্প সারা দেশে সবজি উৎপাদনের জন্য বিনামূল্যে সার্বিক সহযোগিতা এবং সরঞ্জামাদি সরবরাহ করবে, পাশাপাশি বিপণন এবং ফসল সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করবে। উৎপাদকের কাছ থেকে ফসল সংগ্রহ করে গ্রিন গ্রোথ প্রকল্প, বিক্রয়মূল্যের ৬৫% উৎপাদকের হাতে পৌঁছাবে এবং ৩৫% গ্রিন গ্রোথ নিবে।

প্রকল্পের সাফল্যের ক্ষেত্রে প্রতি বছর সেরা ৩ জন উৎপাদনকারীকে আর্থিক পুরস্কার দেয়া হবে।

প্রকল্পের ইতিহাস ও নেপথ্য অবদান

এ প্রকল্পের শুরুতে উল্লিখিত ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দিবে স্বচ্ছলতা’ স্লোগানটি ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে শুরু হওয়া দারিদ্র বিমোচন ও নারী উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ ছিলো। সারা দেশে এ কর্মসূচির আওতায় হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, মাছের পোনা বিতরণ, বাড়ির আঙিনায় সবজি উৎপাদন, বিনামূল্যে সার, বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছিলো। বাংলাদেশের প্রায় ৩,৯৮২টি পরিবারকে স্বচ্ছলতার আওতায় আনা হয়েছিলো।

এবার, এ অভিজ্ঞতা এবং স্লোগানটির আন্তর্জাতিক স্তরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে নিউজার্সির আটলান্টিক সিটিতে। আশিক ইসলাম, গ্রিন গ্রোথ প্রকল্পের প্রজেক্ট রাইটার এবং প্রজেক্ট ইনিশিয়েটর (পিআই) জানান, খাদ্য সংকট এবং মূল্যবৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা করার জন্য সরকারের এ প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্থানীয় কমিউনিটির উন্নয়ন

এ প্রকল্পের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি বাজারে মূল্য হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষত, আটলান্টিক সিটির ৪২ হাজার মানুষের মধ্যে প্রায় ৩৯% ডাইভার্স কমিউনিটির লোকজন প্রকল্পের সুফল পাবেন।

গ্রিন গ্রোথ প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে আশিক ইসলাম আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এ প্রকল্প সঠিকভাবে পরিচালিত হলে, পরবর্তী ধাপে আমরা আরও সম্প্রসারণ করতে পারবো এবং আরও মানুষকে স্বনির্ভর করতে পারবো।

অ্যাটলান্টিক সিটি মেয়র মার্টি স্মল সিনিয়র এ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি ভিন্ন ধরনের প্রকল্প, যা সমাজের তৃণমূল মানুষের কথা চিন্তা করে ডিজাইন করা হয়েছে, তবে এর মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষ উপকৃত হবে।

গ্রিন গ্রোথ প্রকল্প একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা তারেক রহমানের দারিদ্র বিমোচন ও নারীর উন্নয়ন কর্মসূচির ধারা অনুসরণ করছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশিদের জন্য একটি গৌরবের মুহূর্ত। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুমোদিত এ প্রকল্পটি দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের আর্থিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সবার দেশ/কেএম