Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

রাজধানীতে আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

‘বিনিময়’ প্লাটফর্ম হাসিনার ছেলে জয়ের শেল কোম্পানির

‘বিনিময়’ প্লাটফর্ম হাসিনার ছেলে জয়ের শেল কোম্পানির
ফাইল ছবি

‘এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই’, মাফিয়া হাসিনা তার লুটেরা স্বজনদের জন্য ঠিক এভাবেই রাষ্ট্রীয় কোষাগার দু’হাতে খুলে দিয়েছিলেন অবাধ লুটপাট করার জন্য। এ লুটেরা দলে তারে ছেলে জয়, কন্যা পুতুল, বোন রেহানা, রেহানার এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ থেকে বাদ যায়নি তাপস, পরশ, সেলিম, নিক্সনসহ কয়েক ডজন নিকটাত্মীয়। লুটের কবলে বংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি থেকে আছে রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংকও।

আন্তঃব্যাংক মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) এগোতে না পারার পেছনে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেয়াকে একটি বড় কারণ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, আন্তঃব্যাংক এমএফএস পরিচালনার জন্য ‘বিনিময়’ নামে যে প্লাটফর্ম করা হয়েছিলো, সেটি ছিলো ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের শেল কোম্পানির।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খিন চৌধুরী, প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান তানজিল এ চৌধুরী, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন প্রমুখ।

গভর্নর বলেন, আমাদের কর ব্যবস্থাপনার পূর্ণ অনলাইন প্রয়োজন, ভ্যাট- ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণ অনলাইন না হলে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি বন্ধ হবে না। তিনি আরও বলেন, একটি পণ্য আমদানি থেকে উৎপাদন ও বিক্রি পর্যন্ত ১০ শতাংশের ওপরে ভ্যাট হওয়া উচিত না। বর্তমানে যে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হচ্ছে তা সবার জন্য কঠিন হবে বলেও মনে করেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, ইমিডিয়েটলি রাজস্ব খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন হবে না। এখানে অনেক ধরনের সংস্কার দরকার, যা করতে ৩ থেকে ৪ বছর লাগবে। বর্তমান সরকার হয়তো এ সময়টা পাবে না, তবে আমরা শুরু করবো। 

‘মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে পলিসি কাজ করছে না’ এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর জানান, আমি বলবো পলিসি ইজ ওয়ার্কিং একটু কন্ট্রোল ইনফ্লেশন। উন্নতশীল দেশগুলোতেও পদক্ষেপ নেয়ার পর ১০ থেকে ১২ মাস সময় প্রয়োজন হয়।  আশা করছি আগামী জুনের মধ্যে ভালো একটা সুফল পাবো।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে এখন যে ডিপোজিট গ্রোথ রয়েছে তা খুবই কম বলেও মনে করেন গভর্নর। তার মতে, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের ন্যূনতম ১৪ থেকে ১৬% পর্যন্ত ডিপোজিট গ্রোথ হওয়া দরকার।

সবার দেশ/কেএম