মূল্যস্ফীতি ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

দীর্ঘদিন ধরে দেশের মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়া। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি আরও অসহনীয়। ধানের মৌসুম এবং শীতের সবজিতে বাজার সয়লাব হলেও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের উপরে ছিলো।
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি টানা তিন মাস মূল্যস্ফীতি কমে আসার মধ্যেও খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের ওপরে। ফেব্রুয়ারি মাসে এসে এ হার এক অঙ্কে নেমেছে। মাসটিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে, যা গত ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সবশেষ ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ তথ্য বলছে, গত জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার চার মাস পর এক অঙ্কের ঘরে নেমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছিলো, ফেব্রুয়ারিতে এসে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর অর্থ হলো, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৩২ পয়সা।
বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সার্বিক মূল্যস্ফীতি মাসের ব্যবধানে এতটা কমে যাওয়ার কারণ হলো নিম্নমুখী খাদ্য মূল্যস্ফীতি। ফেব্রুয়ারিতে এসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে, যা জানুয়ারিতেও ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। তবে উল্টো খাদ্য বহির্ভূত খাতে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ, জানুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে শহরের খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশে, জানুয়ারিতে যা ছিল ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ পয়েন্ট। অন্যদিকে গ্রামের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, জানুয়ারিতে যা ছিলো ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। গ্রামে এর মধ্যে দশমিক ১২ শতাংশ পয়েন্ট খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ফেব্রুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, জানুয়ারিতে যা ছিলো ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। অন্যদিকে শহরে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক ২ শতাংশ পয়েন্ট। ফেব্রুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ, জানুয়ারি মাসে যা ছিলো ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।
সবার দেশ/এনএন