Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২:৪৬, ২৭ মার্চ ২০২৫

বাজারে সহনীয় মূল্য বজায় রাখা নিয়ে আশাবাদ

রোজার পর ঈদ পণ্যের দামেও ভোক্তার স্বস্তি

গত বছর পোলাও চালের দাম ছিলো ১৪০-১৬০ টাকা, এবার ১১০-১২০ টাকা। চিনি ২০ টাকা কমে ১২০ টাকা, যা গত বছর ছিলো ১৪০ টাকা। ২০০ গ্রামের প্যাকেট চিকন সেমাই ৪৫ টাকা, যা গত বছর ছিলো ৪৫-৫০ টাকা। খোলা চিকন সেমাই ১২০-১৪০ টাকা, যা আগে ১৫০-১৮০ টাকা ছিলো।

রোজার পর ঈদ পণ্যের দামেও ভোক্তার স্বস্তি
ফাইল ছবি

এবারের ঈদুল ফিতরের বাজারে পণ্যের দামেও ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি বিরাজ করছে। গত বছরের তুলনায় বেশ কিছু পণ্যের দাম কমে যাওয়ার কারণে ক্রেতারা কিছুটা হলেও উপকৃত হচ্ছেন। বিশেষত, প্রতি কেজি পোলাও চাল, চিনির দাম এবং সেমাইয়ের দাম গত বছরের তুলনায় কমে গেছে। তবে, ঈদে বাজারে বাড়তি চাহিদা এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর মুনাফালোভী আচরণ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ভোক্তাদের মধ্যে।

বাজারে ঈদ উপলক্ষে কিছু পণ্যের দাম কমে গেছে, যা ভোক্তাদের জন্য ইতিবাচক। গত বছর রোজার ঈদের সময় প্রতি কেজি পোলাও চালের দাম ছিলো ১৪০-১৬০ টাকা, কিন্তু এবার তা ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি চিনির দামও কমেছে ২০ টাকা, যেখানে গত বছর এটি ছিলো ১৪০ টাকা। এছাড়া ২০০ গ্রামের প্রতি প্যাকেট চিকন সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, যা গত বছর ছিলো ৪৫-৫০ টাকা। খোলা চিকন সেমাইয়ের দামও গত বছরের তুলনায় কমেছে, ১২০-১৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে ১৫০-১৮০ টাকা ছিলো।

এছাড়া, প্রাত্যহিক খাওয়ার পণ্য হিসেবে ঘি এবং দুধের দাম আগের মতোই রয়েছে। মিল্কভিটা ঘি কিছুটা বেড়ে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগেও ৬০ টাকা কম ছিলো। তবে, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম গত বছরের তুলনায় কয়েকগুন কম, অন্যান্য মসলাপণ্যের দামও স্থিতিশীল রয়েছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে এক ধরনের শঙ্কাও রয়েছে ভোক্তাদের। বিশেষত ঈদের আগের দিকে বাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয় এবং এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এ চাহিদাকে পুঁজি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ক্রেতারা বলছেন, এবার বাজারে রোজার আগে থেকেই কিছুটা স্বস্তি ছিলো এবং এখন ঈদ বাজারের দামও কিছুটা কম, তবে মাংসের দাম বেড়েছে। ঈদ এলেই কিছু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দেয়, এ কারণে তদারকি জোরদার করা উচিত।

সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এবার রোজার মাসে পণ্যের দাম ছিলো নিয়ন্ত্রণে। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন জানান, সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপের কারণে ভোক্তারা এবারের রোজায় বেশ কিছু পণ্যের দামে স্বস্তি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঈদে যাতে এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে।

এছাড়া, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জানিয়েছে যে, রোজা মাসের সময় বাজার তদারকি করা হয়েছে এবং অনেক অসাধু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষেও তদারকি কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে, যাতে পণ্যের দাম সহনীয় থাকে এবং ভোক্তারা স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেন।

এবারের ঈদ বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখার জন্য সরকারের পদক্ষেপ এবং বাজার মনিটরিংয়ের ফলশ্রুতিতে ভোক্তারা কিছুটা হলেও আশা করছেন যে, মূল্যবৃদ্ধি খুব বেশি হবে না। সরকারি উদ্যোগের ফলে ঈদে ভোক্তারা আগের চেয়ে কিছুটা কম দামে পণ্য কিনতে পারবেন, যা তাদের জন্য অনেকটা আর্থিক স্বস্তি বয়ে আনবে।

সবার দেশ/এমকেজে