Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বেড়ে ২৬.৩৯ বিলিয়ন ডলার

শুভ নববর্ষে রিজার্ভেও সুখবর

শুভ নববর্ষে রিজার্ভেও সুখবর
ফাইল ছবি

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর প্রাক্কালে দেশের অর্থনীতিতে এসেছে সুখবর। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.৩৯ বিলিয়ন ডলারে, যা ২ হাজার ৬৩৯ কোটি ডলারের সমান। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী নিট রিজার্ভ এখন ২১.১১ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ২ হাজার ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। রোববার (১৩ এপ্রিল ২০২৫) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

আরিফ হোসেন খান জানান, গত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিলো ২৬.১৪ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে নিট রিজার্ভ ছিলো ২০.৯০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে, ৬ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিলো ২৫.৬২ বিলিয়ন ডলার এবং নিট রিজার্ভ ছিল ২০.৪৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে রিজার্ভে ধারাবাহিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তির শর্ত অনুযায়ী জুনের মধ্যে নিট রিজার্ভ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছানোর আশা করছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তির শর্ত পূরণে নিট রিজার্ভ এখনও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১ বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে আছে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, জুনের মধ্যে নিট রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি হওয়া প্রয়োজন, যেখানে বর্তমানে তা ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রয়েছে। তবে, রিজার্ভ বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে শর্ত পূরণ সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে দেশে এসেছে ৩২৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ। এ রেমিট্যান্স প্রবাহ রিজার্ভ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এছাড়া, রফতানি আয় ও বৈদেশিক ঋণের কিস্তি প্রাপ্তিও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষ করে, আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির শর্ত পূরণের পাশাপাশি আমদানি ব্যয় নির্বাহে এ রিজার্ভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে প্রায় চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব, যা একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

বাংলা নববর্ষের শুরুতে রিজার্ভ বৃদ্ধির এ সুখবর দেশের অর্থনীতিতে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। রেমিট্যান্সের ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ, রফতানি আয়ের স্থিতিশীলতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে রিজার্ভে এ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। আগামী দিনে আইএমএফের শর্ত পূরণের মাধ্যমে অর্থনীতির এ স্থিতিশীলতা আরও জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সবার দেশ/এমকেজে