Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১০, ২০ এপ্রিল ২০২৫

পৌনে ২৭ বিলিয়ন ডলার মোট মজুদ

রেমিট্যান্সের জোরে বাড়ছে রিজার্ভ

রেমিট্যান্সের জোরে বাড়ছে রিজার্ভ
ফাইল ছবি

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, যেখানে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। চলতি এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশের মোট রিজার্ভ বেড়ে ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার (২ হাজার ৬৭৩ কোটি ডলার) ছুঁয়েছে। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী নিট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার (২ হাজার ১৩৯ কোটি ডলার)। তবে ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ, যা আইএমএফের এসডিআর, ব্যাংকগুলোর ক্লিয়ারিং হিসাব এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে গণনা করা হয়, তা ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভের এ বৃদ্ধি প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহের কারণে সম্ভব হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত মার্চ মাসে রেকর্ড ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে, যা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা রাখে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি, ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখা এবং ব্যাংকগুলোর উদ্বৃত্ত ডলার ক্রয়ের মাধ্যমে রিজার্ভে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।

এ অগ্রগতি বৈদেশিক লেনদেনে চাপ কমিয়েছে এবং বাজারে পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক হচ্ছে। তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য আমদানি ব্যয় ও রফতানি আয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা এবং অর্থ পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

সবার দেশ/কেএম