Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ১২ মার্চ ২০২৫

২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

শাহবাগী লাকিকে গ্রেফতারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি

শাহবাগী লাকিকে গ্রেফতারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি
ছবি: সবার দেশ

গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

তারা লাকি আক্তারকে গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। 

বুধবার (১২ মার্চ) রাত সোয়া ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য হয়ে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

এর আগে পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদী বানানোর অন্যতম খলনায়ক লাকি আক্তারসহ অন্যান্য ফ্যাসিবাদী দোসরদের গ্রেফতারের দাবিতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল—শীর্ষক কর্মসূচির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। 

শিক্ষার্থীরা ‘শাহবাগ নো মোর, ল তে লাকি, তুই হাসিনা তুই হাসিনা, চব্বিশের বাংলায় শাহবাগের ঠাঁই নাই, শাহবাগীরা হামলা করে, ইন্টেরিম কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। 

শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করেছে। তারা আবার সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে আর শাহবাগ ফিরবে না। লাকি আক্তাররা বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করেছিলো। তারা আজ পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এ বাংলাদেশে আমরা আর শাহবাগের উত্থান মেনে নেবো না। 

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে যাওয়ার নাম করে তারা আজ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আসার আগে এ মুহূর্তে কারা বাংলাদেশকে বিশৃঙ্খল করতে চায় তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক। 

মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, অবিলম্বে যারা আজ পুলিশের ওপর হামলা করেছে, তাদেরসহ লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করতে হবে। তাকে গ্রেফতার না করলে আমরা আবার রাজপথে নামবো। ২০১৩ সালে যারা বিচারহীনতা কায়েম করে ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে শক্তিশালী করেছিলো। এ শাহবাগীদের বিচার করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করতে হবে। বাংলাদেশে হয় আমজনতা থাকবে না হয় শাহবাগীরা থাকবে।

সবার দেশ/কেএম