রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা
ছাত্রদল নেতা রিমান্ডে, কারাগারে ৬ অনুসারী
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেফতার ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ হোসাইন মিথুনের এক দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া নিউমার্কেট থানায় হামলায় ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতার ছয় সমর্থককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন– মো. বশির ইসলাম, মো. হাসান, মো. ইমন, মো. মাসুম মাহমুদ, মো. আলামিন ও মো. আকবর আলী।
জানা গেছে, এ দিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. এরশাদ হোসাইন তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করে। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। আদালত একজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন, আর বাকি ছয়জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি)নিউমার্কেট থানার সামনে থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে একটি মামলার গ্রেফতার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হোসাইন ওরফে মিথুনকে (৩৫) নিউমার্কেট থানার গেটে আনলে এজাহারনামীয় আসামিরা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর লাঠি, লোহা, রড, চাপাতি নিয়ে হামলা করে। আসামিদের আক্রমণে নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ সুপার তারিক লতিফসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য মারাত্মকভাবে জখম হন। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. ওমর ফারুক ১৪ জন এজাহারনামীয় ও ৩০ থেকে ৩৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে পুলিশের কর্তব্য পালনে বাধা দান ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
একইদিন ভোরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় গ্রেফতার মিথুনকে নিউ মার্কেট থানা থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তার অনুসারীরা। এ সময় নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন।
জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি রাতে এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন ১১ জানুয়ারি এ ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা গেছে, মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে ৪ থেকে ৫ জন মিলে এহতেসামুলকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করছে। পাশে দাঁড়িয়ে আছে আরও ৬ থেকে ৭ জন। সবাই মুখোশপরা।
চাপাতির আঘাতে এহতেসামুল রাস্তায় পড়ে যান। এরপরও তার ওপর কোপ চালানো হয়। তিনি ওঠার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু হামলাকারীদের আঘাতে উঠতে না পেরে এক পর্যায়ে সড়কে শুয়ে পড়েন। তখনও আঘাত করতে থাকে দুর্বৃত্তরা। আবারও তিনি ওঠার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। হামলার সময় সড়কে পথচারী এবং গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। কিন্তু হামলাকারীদের ঠেকাতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। দেড় থেকে দুই মিনিট পর হামলাকারীরা সটকে পড়ে।
সবার দেশ/এমকেজে