Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:৪২, ২৬ মার্চ ২০২৫

অফিস থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ ছিলেন দু’দিন 

তুরাগে হা-মীম গ্রুপের জিএমের লাশ উদ্ধার

তুরাগে হা-মীম গ্রুপের জিএমের লাশ উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তুরাগ থানাধীন উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে হা-মীম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আহসান উল্লাহ (৪৮) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আহসান উল্লাহ হাসান হা-মীম গ্রুপের আশুলিয়ার দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাসা তুরাগ থানার চন্ডালভোগ এলাকায়। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে তিনি তার অফিসের কাজে বাসা থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে বের হন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার ব্যক্তিগত চালক সাইফুল ইসলাম। সাইফুল আট মাস ধরে তার গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

অফিসের কাজ শেষে সাইফুল বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে প্রাইভেটকার নিয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু ৪টার দিকে আহসান উল্লাহর স্ত্রী লুৎফুন নাহার তাকে ফোন দিলে অপরপ্রান্ত থেকে কল কেটে দেয়া হয়। এরপর ইফতারের আগে পুনরায় ফোন করেও তিনি স্বামীকে পাননি। চালক সাইফুলের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহসান উল্লাহ মিরপুরে অবস্থান করছেন এবং একটি মিটিং করছেন। তবে রাত ৮টায়ও বাসায় না ফেরায় তার স্ত্রী আবারও ফোন করেন, তখন ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর চালক সাইফুলকে আবার ফোন করলে তিনি জানান, আহসান উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে একজনের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। এরপর সাইফুল বাসায় চলে যান।

এ ঘটনায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেন, কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়। সোমবার সকালে চালক সাইফুল স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান এবং তার ফোন নম্বরও বন্ধ থাকে। এ অবস্থায় আহসান উল্লাহর স্ত্রী লুৎফুন নাহার সাইফুলের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের তদন্তে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তুরাগ থানাধীন ১৬ নম্বর সেক্টরের কাশবনের ভেতরে একটি অজ্ঞাত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় নিশ্চিত করার পর জানা যায় যে, এটি নিখোঁজ আহসান উল্লাহর লাশ। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশটি সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় অপহরণ মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সবার দেশ/এমকেজে