Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ৭ এপ্রিল ২০২৫

শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে উত্তাল শিক্ষার্থীরা

ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও

ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় যখন ফিলিস্তিনের গাজা এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে, তখন বাংলাদেশেও তার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্ম। 

এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সামনে এক ব্যতিক্রমী ও সাহসী বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ‘ফিলিস্তিনের পক্ষে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে’—ঢাকার রাজপথে নতুন স্লোগান ধারণ করে রাজপথে নেমে আসে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকায় আমেরিকান দূতাবাসের সামনে প্রতিরোধ

সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে হঠাৎ করেই একদল তরুণ রাজধানীর বারিধারা এলাকার মার্কিন দূতাবাসের সামনে মহাসড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় সড়কে যান চলাচল। ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’, ‘ইসরায়েলের দালাল ট্রাম্পের বিচার চাই’—এমন শ্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।

মিছিলটি শান্তিপূর্ণ হলেও, দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিলো। সেনাবাহিনী মানবপ্রাচীর তৈরি করে এবং প্রবেশপথে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি চালায়।

শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও প্রতিবাদের ভাষা

এক বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী বলেন, এ জমিন একদিন মুক্ত হবেই। যতোদিন মুসলিমরা বেঁচে থাকবে, ততোদিন ফিলিস্তিন থাকবে। আমরা নিরস্ত্র, কিন্তু নিরব নই।

এর আগে সকাল থেকেই বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তারা স্পষ্ট করে জানান—এ বিক্ষোভ কোনো রাজনীতি নয়, এটি মানবতার পক্ষে এক প্রতিবাদ। ‘ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমরা কারা, তোমরা কারা?—ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’—এমন শ্লোগান গোটা পরিবেশকে গরম করে তোলে।

পুলিশ প্রশাসনের অবস্থান

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার তারেক মাহমুদ জানান, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে নতুনবাজার এলাকায় মিছিল নিয়ে এসেছে। তারা অবস্থান করছে। মিছিল শেষে চলে যাবে বলে জানিয়েছে। 

প্রশাসনের এমন সহনশীল অবস্থান প্রশংসিত হলেও, সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং কড়া নজরদারি এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কতটা শঙ্কা বা চাপের মধ্যে রাখা হয়েছে—তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

তরুণদের নতুন রাজনীতি—মানবতার পক্ষে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে

এ বিক্ষোভ একদিকে যেমন ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আবেগ ও সহানুভূতির প্রকাশ, অন্যদিকে এটিও দেখিয়ে দিয়েছে যে, তরুণ প্রজন্ম এখন আর নীরব দর্শক নয়। তারা জানে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলতে হয় এবং কার মুখোশ খুলে দিতে হয়।

বিশেষ করে ঢাকার মতো কূটনৈতিক এলাকায় মার্কিন দূতাবাস ঘেরাওয়ের মতো পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে সাহসী এবং তা ভবিষ্যতের প্রতিরোধ রাজনীতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

সবার দেশ/কেএম