বর্ণিল স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন
ওয়ার্ল্ড জার্নালিস্টস ক্লাবের স্বাধীনতা সম্মাননা-২০২৫ প্রদান

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ওয়ার্ল্ড জার্নালিস্টস ক্লাবের আয়োজনে স্বাধীনতা সম্মাননা-২০২৫ প্রদান ও বর্ণিল স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত। প্রধান অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ড. সৈয়দ নকীব মুসলিম, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, এনটিভির পরিচালক আলহাজ নুরুদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোতাহার হোসেন, উইং কমান্ডার মীর অমিনুল ইসলাম (অব.), অধ্যাপক কর্নেল কাজী শরীফ উদ্দিন (অব.), লে. কর্নেল মহসিন আলী খান (অব.) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের আহ্বায়ক এম. এম. ইকবাল আলমগীর।
স্বাধীনতা সম্মাননা-২০২৫ প্রাপ্ত ব্যক্তি ও সংগঠন:
- মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান (মরণোত্তর): এম এ জি ওসমানী, মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক (আজীবন সম্মাননা); লে. কর্নেল জাফর ইমাম বীর বিক্রম, দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক।
- সমাজসেবায় বিশেষ অবদান: সৈয়দ দিদার বখত; ফেনী ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি (এফডিসি)।
- সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান (মরণোত্তর): জহির রায়হান।
- প্রশাসনে বিশেষ অবদান: এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী।
- সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান: আলহাজ নুরুদ্দীন আহমেদ।
- মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের সেবা ও জনস্বাস্থ্যে বিশেষ অবদান: ডা. হালিদা হানুম আখতার।
- সংগীতে বিশেষ অবদান: আলম আরা মিনু।
- মানবাধিকারে বিশেষ অবদান: হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি (প্রতিনিধি: ব্যারিস্টার জিন্নুর রাইন চৌধুরী)।
বক্তাদের বক্তব্য:
- সৈয়দ দিদার বখত বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ সম্মাননা ও স্মরণিকা প্রকাশ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
- বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া জানান, এ উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি সম্মাননাপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।
- ড. সৈয়দ নকীব মুসলিম বলেন, এ অনুষ্ঠান স্বাধীনতা রক্ষার উদ্দীপনা জাগায়, যদিও বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এখনো পূর্ণতা পায়নি।
- এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী উল্লেখ করেন, এ সম্মাননা সাম্য ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
- আলহাজ নুরুদ্দীন আহমেদ বলেন, এ উদ্যোগ শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের এক বিরল উদাহরণ।
- ড. হামিদা খানম ২৫ মার্চের কালরাত ও স্বাধীনতার ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
- মোতাহার হোসেন সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের পঞ্চম স্তম্ভ হিসেবে গুরুত্ব তুলে ধরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর জোর দেন।
- উইং কমান্ডার মীর অমিনুল ইসলাম শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সম্মাননাপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।
- এম. এম. ইকবাল আলমগীর বলেন, এম এ জি ওসমানীসহ সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনরা দেশের কল্যাণে আরও অবদান রাখবেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা হয়।
সবার দেশ/কেএম