Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:২১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৮:২৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চার বাগানবাড়ি, ডুপ্লেক্স ভবন, শানবাঁধানো ঘাট, পুকুর, ওয়াচ-টাওয়ার

হাসিনা-রেহানা পরিবারের দেশজুড়ে জমিদারি

বাগানবাড়ি-১: কানাইয়ায় টিউলিপ’স টেরিটরি, বাগানবাড়ি-২: তেলিরচালা, বাগানবাড়ি-৩: ফাওকাল, বাগানবাড়ি-৪: বাঙ্গালগাছে ‘বাগানবিলাস’

হাসিনা-রেহানা পরিবারের দেশজুড়ে জমিদারি
ছবি: সংগৃহীত

সারি সারি গাছের ভেতর দিয়ে রাস্তা। গ্রামীণ পরিবেশ। কারাগারের মতো সুউচ্চ প্রাচীর। তার ভেতরে বিশাল এক বাগানবাড়ি। সেখানে রয়েছে ডুপ্লেক্স বা দ্বিতল ভবন, ওয়াচ-টাওয়ার, শানবাঁধানো ঘাট ও পুকুর। বাহারি ফুল-ফলের গাছ, পুকুরে মাছ। চারিদিকে হারানো রাতের জলসার কানাকানি। এ যেন রূপকথার গল্পের মতোই শোনায়। রূপকথা নয়, এমনি এক বাস্তববতার অস্তিত্ব মিলেছে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রান্তে এদেশের ‘জাতের কন্যাদ্বয়ে’র পরিবারের নামে-বেনামে সম্পদের তালকিায়। 

বাগান বাড়িটির নাম টিউলিপ’স টেরিটরি। অবস্থান গাজীপুর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কানাইয়া এলাকায়। টিউলিপ’স টেরিটরি নামকরণ হয়েছে সম্প্রতি পদচ্যুত ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের নামে। নথিপত্রে বাড়িটির মালিক শফিক আহমেদ সিদ্দিক, যিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ভারতে পলাতক শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার স্বামী ও টিউলিপের বাবা।

টিউলিপ’স টেরিটরিসহ গাজীপুরে চারটি বাগানবাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে, যেগুলোর মালিক শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা। বাগানবাড়িগুলোর আশপাশের বাসিন্দারা বলছেন, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, স্বজন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রায়ই বাগানবাড়িগুলোতে বেড়াতে যেতেন। বিশেষ করে শীত মৌসুমে তাদের যাতায়াত বেশি ছিলো। মাঝেমধ্যে রাতে জাতীয় পতাকা লাগানো গাড়ি প্রবেশ করতো। তখন বাংলোর চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকতো। কখনও কখনও ভোরেই গাড়িগুলো চলে যেতো। কখনো কখনো দু-এক দিন থাকতো।

চারটি বাগানবাড়ির মধ্যে একটির মালিক শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী। একটির মালিক শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিক। বাকি দুটির মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

স্থানীয়ভাবে বাড়িগুলো শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যদের বলে প্রচলিত ছিলো। স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে যতটুকু নথিপত্র পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, চারটি বাগানবাড়ির দলিলাধীন জমির পরিমাণ ৮১৬ শতক বা ২৫ বিঘা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, জমির পরিমাণ এর অনেক বেশি। গড় মৌজা মূল্য বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২৫ বিঘা জমির দাম প্রায় ৪৯ কোটি টাকা। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্তমান বাজার মূল্যে এ জমির দাম ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট মাফিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন শেখ রেহানা। এ দুই বোনের পরিবারের সদস্যরা বিদেশে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের কী কী সম্পদ আছে, তা খোঁজ করছে। সংস্থাটি তথ্য চেয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসনকে চিঠিও দিয়েছে।

জানতে চাইলে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ও এলএ) মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন, দুদক থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের জমির তথ্য চেয়েছে। আমরা এরই মধ্যে জেলার সবগুলো ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে জমির তথ্য চেয়েছি। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের নামে কী পরিমাণ জমি রয়েছে।

বাগানবাড়ি-১: কানাইয়ায় টিউলিপ’স টেরিটরি

গাজীপুরের কানাইয়া সিটি করপোরেশনের মধ্যে হলেও সেখানকার পরিবেশ গ্রামীণ এলাকার মতোই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের বাড়িঘর মাটির। কেউ কেউ আধা পাকা ও পাকা ভবন করেছেন। গাজীপুরের যেসব এলাকায় রিসোর্ট বেশি, তার মধ্যে একটি কানাইয়া।

টিউলিপ’স টেরিটরিতে কানাইয়ায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি ও কয়েকটি টিনের ঘর রয়েছে। সব জায়গায় ভাঙচুরের চিহ্ন, ডুপ্লেক্স বাড়ির একাংশ পোড়া। বাড়ি পাহারায় কোনো লোকজন নেই। বিশাল একটি পুকুরেরর ভেতরে দুটি নৌকা।

বাগানবাড়িটির পাশেই জনৈক রফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরপর একদল লোক বাগানবাড়িটিতে ভাঙচুর করেছে। তখন থেকে আর বাড়ির মালিকপক্ষ বা নিরাপত্তাকর্মীদের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। আগে অনেক নিরাপত্তা ছিলো। বাড়িটি কার, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই জানে এটা শেখ রেহানার বাড়ি।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, প্রতিবছর শীতের সময়ে দেখতাম বাড়িটি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তা। পতাকা লাগানো গাড়িও আমরা আসতে দেখেছি।

গাজীপুর পৌর ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে টিউলিপ’স টেরিটরির ২৬৩ শতক (প্রায় আট বিঘা) জমির নামজারির নথি পাওয়া যায়। তাতে দেখা যায়, জমির মালিকানা শফিক আহমেদ সিদ্দিকের নামে। টিউলিপ’স টেরিটরির সীমার ভেতরে এখনো নামজারি না হওয়া শফিক আহমেদ সিদ্দিকের মালিকানাধীন জমি আছে কি না, তা জানা সম্ভব হয়নি।

টিউলিপ’স টেরিটরির সীমানা ইটের দেয়াল ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে চিহ্নিত করা আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সীমানা চিহ্নিত এলাকায় জমির পরিমাণ আট বিঘার কয়েক গুণ হবে। বিষয়টি নিয়ে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, হতে পারে জমি কেনা হয়েছে, এখনও নামজারি হয়নি।

বাগানবাড়ি-২: তেলিরচালা

গাজীপুর শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে মৌচাকের তেলিরচালা এলাকায় বাংলাদেশ স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পূর্ব পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘেঁষে শিল্পঘন এলাকাটিয় রয়েছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের একটি বাগানবাড়ি। 

স্থানীয় ভূমি কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৭০ সালের দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এ জমি লিখে দিয়েছিলেন। উত্তরাধিকারসূত্রে জমির মালিক হয়েছেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পরে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জমির কিছু অংশ সন্তানদের লিখে দেন। সে সূত্রে মালিক হন সজীব ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, রাদওয়ান সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক। নথিপত্রে জমির পরিমাণ ২৯৭ শতক (৯ বিঘা)। তবে এ ক্ষেত্রেও স্থানীয়দের ভাষ্য, বাস্তবে জমির পরিমাণ অনেক বেশি হবে।

‘ডামি ভোট’ নামে পরিচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া শেখ হাসিনার হলফনামা ঘেঁটে দেখা যায়, তিনি নিজের নামে সাড়ে ১৫ বিঘা কৃষিজমি দেখিয়েছেন, যা টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর ও রংপুরে অবস্থিত।

তেলিরচালায় দেখা যায়, বাগানবাড়িটি সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ভেতরে একটি দ্বিতল ভবন, শানবাঁধানো ঘাটসহ পুকুর, সুইমিংপুল (সাঁতার কাটার জন্য নির্মিত পাকা জলাধার) ও খোলা জায়গা রয়েছে। বাড়িটির ফটকে কোনো নাম নেই। ফটকটি ভাঙা। ভেতরে কয়েকটি শিশু খেলছিলো। কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিও ছিলেন। তারা জানান, ৫ আগস্ট এ বাড়িতেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তারপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। মাঝে এক দফায় কোনও এক রাতে ইটের দেয়াল তুলে ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। পরে তা কে বা কারা ভেঙে ফেলেছে।

বাড়িটির কাছে পাওয়া যায় স্থানীয় বাসিন্দা আলমাছ হোসেনকে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বছরে কয়েকবার বাড়িটি ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হতো। তখন লোকজন বলাবলি করতো, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এসেছেন। তিনি বলেন, আমরা তখন ধারেকাছেও যেতে পারতাম না। তারা না থাকলেও বাড়িটি ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা থাকত।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাগানবাড়িটি দেখাশোনা করতেন কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ। ৫ আগস্টের পর তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।

বাগানবাড়ি-৩: ফাওকাল

গাজীপুর মহানগরের ফাওকাল এলাকায় বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা ও টাঁকশাল নামে পরিচিত দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেডের পাশেই রয়েছে আরেকটি বাগানবাড়ি। সেটিকে আগে স্থানীয় মানুষজন ‘ডাক্তার বাড়ি’ হিসেবে চিনতেন। তবে নথিপত্রে বাড়ির মালিক তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটি সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ফটকে বাড়িটির কোনও নাম লেখা নেই। ফটকটি নতুন করে ইটের দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশের একটি গাছে উঠে দেখা যায়, বাড়িটির সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে অনেক বড় জমি। আছে ডুপ্লেক্স বাড়ি, শানবাঁধানো ঘাটসহ পুকুর ও গাছপালা। ভেতরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চিহ্ন রয়েছে।

নথিপত্রে বাড়িটিতে জমির পরিমাণ ১৭৮ শতক বা ৫ দশমিক ৪ বিঘা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, এ ক্ষেত্রেও জমির পরিমাণ অনেক বেশি।

ভূমি কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা অনিল কুমার ও অক্ষয় কুমার বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জমিটি কেনা হয় তারিক আহমেদ সিদ্দিকের নামে। এর মধ্যস্থতা করেন স্বপন মিয়া নামের স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ী। স্বপন এখন আত্মগোপনে।

ওই জমির সাবেক মালিক অক্ষয় কুমার বিশ্বাসকে পাওয়া যায় জয়দেবপুরে। তিনি বলেন, ওই জমি তার বাবা-চাচাদের ছিলো। ২০১৫ সালে তারিক আহমেদ সিদ্দিক কিনে নেন। ২৩ বিঘা জমি থাকলেও ১৪ বিঘার দাম দেন তিনি। কাগজপত্র সমস্যা থাকার কারণে বাকি জমির দাম পাননি। তিনি আরও বলেন, যে জমির দাম পাননি, তা-ও এখন বাড়িটির সীমানার ভেতরে রয়েছে।

বাগানবাড়ি-৪: বাঙ্গালগাছে ‘বাগানবিলাস’

মহানগরীর বাঙ্গালগাছ এলাকায় রয়েছে আরেকটি বাংলোবাড়ি। নাম ‘বাগানবিলাস’। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা বাড়িটির ফটক বন্ধ। হৃদয় নামের এক ব্যক্তি ফটকের দরজা খুলে জানান, তিনি ওই বাড়ি দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিবেদককে ভেতরে ঢুকতে দেননি।

বাইরে থেকেই দেখা যায়, বাগানবাড়িটির ভেতরে শত শত গাছ লাগানো। রয়েছে একটি দোতলা ভবন। পাশেই আরেকটি ছোট ঘর। সামনে বিশাল পুকুর। পাশের বিল ও পুকুর দেখার জন্য রয়েছে ‘ওয়াচ-টাওয়ার’।

বাগানবাড়িটি দেখাশোনাকারী হৃদয় বলেন, সবাই জানে এটি শেখ রেহানার বাংলো। কিন্তু এটি আসলে তার এক আত্মীয়ের। ৫ আগস্ট একদল লোক বাড়িটিতে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে এবং লুটপাট চালায়।

বাড়িটির ফটকে শফিক সিদ্দিকের নাম লেখা, যিনি তারিক সিদ্দিকের ভাই। তবে ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড়ির ৭৮ শতক (২ দশমিক ৩৬ বিঘা) জমির নামজারি হয়েছে তারিক সিদ্দিকের নামে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জমির পরিমাণ অনেক বেশি।

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বেশির ভাগের নামে ৫ আগস্টের পর হত্যা মামলা হয়েছে। দুদক তাদের দুর্নীতির অনুসন্ধান করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলাও হয়েছে।

দুদক গত ১৭ ডিসেম্বর ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ ও টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। সংস্থাটি তথ্য গোপন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকার পূর্বাচলে ৬০ বিঘা আয়তনের ৬টি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুটি মামলা করে। তিন বিমানবন্দরে চার প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গত ২৭ জানুয়ারি চারটি মামলা করেছে দুদক।

দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের কেউ কেউ পৈতৃক সূত্রে ও লিখে দেয়া সূত্রে জমি পেয়েছেন। শেখ হাসিনা হলফনামায় জমি দেখিয়েছেন। কিন্তু পরিবারের বাকি সদস্যসহ অন্যদের সম্পদ কী উপায়ে অর্জিত, তা নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা দরকার।

সবার দেশ/কেএম