টিউলিপের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হবে: দুদক
টিউলিপ দুদকের অভিযোগ অস্বীকার করলেন
টিউলিপের আইনজীবী জানান, এ ফ্ল্যাটটি ২০০৪ সালে টিউলিপ তার গডফাদার (ধর্মপিতা) আবদুল মোতালিফের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তখন পারমাণবিক প্রকল্পের অস্তিত্বই ছিলো না। টিউলিপ সিদ্দিক মস্কো সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন, কোনও চুক্তিতে জড়িত ছিলেন না।

বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভাগিনী, যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ আমাকে লক্ষ্য করে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে। এর মধ্যে যে তিনটি অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম এসেছে তা হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি থেকে সুবিধা গ্রহণ, ঢাকায় জমি দখল এবং মুদ্রা পাচার।
ব্রিটিশ জনগণের চাপে গত জানুয়ারিতে সিটি মিনিস্টার পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার পর প্রথমবারের মতো টিউলিপ দুদককে চিঠি দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
টিউলিপ অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ সরকার সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে মিডিয়ায় ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়াচ্ছে।
তার আইনজীবী স্টিফেন হারউড দুদকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলেন, দুদকের এ আচরণ যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের একটি অগ্রহণযোগ্য চেষ্টা।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দুদক বা বাংলাদেশ সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ টিউলিপের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনেনি।
দুদক অভিযোগ করেছে, রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের অর্থ থেকে লন্ডনে সাত লাখ পাউন্ডের একটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে, সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।
তবে টিউলিপের আইনজীবী জানান, এ ফ্ল্যাটটি ২০০৪ সালে টিউলিপ তার গডফাদার (ধর্মপিতা) আবদুল মোতালিফের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তখন পারমাণবিক প্রকল্পের কোনও অস্তিত্বই ছিলো না।
এ ছাড়া, টিউলিপ সিদ্দিক মস্কো সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন, তবে কোনও চুক্তিতে জড়িত ছিলেন না।
টিউলিপের বিরুদ্ধে ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় জমি দখলের অভিযোগ থাকলেও তিনি দাবি করেছেন, আমার কখনও ঢাকায় জমি ছিলো না। বোনের কাছে ফ্ল্যাট হস্তান্তর আইনসিদ্ধভাবে হয়েছে।
দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ যুক্তরাজ্যের আদালতসহ যেকোনও আদালতে প্রমাণিত হবে।
এদিকে, টিউলিপের আইনজীবী দুদককে হয়রানিমূলক তদন্ত বন্ধ করতে বলেছেন এবং তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সবার দেশ/কেএম