ঘন কুয়াশার কারনে সৈয়দপুরে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ
উত্তরের হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঘণ কুয়াশার কারণে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। সেখানে ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) মাত্র ৬০০ মিটার কিন্তু বিমান ওঠা নামা করতে প্রয়োজন ১২০০ মিটার। ধারনা করা হচ্ছে দুপুর ১২টার আগে আকাশ পরিষ্কার হচ্ছে না। বিমান উঠা নামা না করায় বিড়াম্বনায় পড়েছে যাত্রীরা।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত এখানকার মানুষের জীবন। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপদে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শহরে লোকজন চলাচল করছে সীমিত ভাবে।
অপরদিকে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মাঘ মাসের শুরু থেকে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ কষ্টে দিনযাপন করছেন। রাস্তায় লোকজনের চলাচল একবারেই সীমিত। এমনকি ভর দুপুরেও সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।
নিতান্ত প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষেরই কেবল দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া মানুষজন। শহরে দেখা হয় ভ্যান চালক ময়নুল (৫০) এর সাথে তিনি জানান, ঠান্ডায় আর পাইছি না। পেটের জ্বালায় রাস্তায় নেমেছি। ভাড়াও তেমন নাই বললেই চলে। তাও সংসারের প্রয়োজনে ভ্যান নিয়ে বাহির হয়েছি।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ঘন কুয়াশায় ছেয়ে আছে। এতে করে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। দুপুর ১টার পর উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হতে পারে আকাশ খানিকটা উজ্জ্বল হলে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আগামীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলে।
সৈয়দপুর হাসপাতাল সূত্র জানায়, শীতের কারণে শীতজনিত রোগে বহিবিভাগে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সবার দেশে/কেএম