Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা 

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৮ বিএনপি নেতার কারামুক্তি

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৮ বিএনপি নেতার কারামুক্তি
ছবি: সংগৃহীত

ঈশ্বরদী স্টেশনে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসপ্রাপ্ত ৮ বিএনপি নেতা কারামুক্ত হয়েছেন। তাদের কারামুক্তিকে কেন্দ্র করে বিশাল শোভাযাত্রা পালন করেছে দলটি।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী কারাগার হতে মুক্ত নেতাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী বরণ করে বিশাল শোভাযাত্রা সহকারে ঈশ্বরদীতে নিয়ে আসেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাজশাহী কারাগার থেকে ৫ জন ও সোমবার পাবনা ৩ জন মুক্তিপান। তাছাড়া এ মামলায় দীর্ঘদিন বন্দি থাকার  পর বুধবার ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহাবুবুর রহমান পলাশ মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

কারামুক্ত নেতারা হলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সাবেক পৌরসভার মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম আক্তারুজ্জামান, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মোস্তফা শ্যামল ও বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল।

এদিকে আলহাজ্ব হাই স্কুল মাঠ থেকে কারামুক্ত নেতাদের নিয়ে বের হয় বিশাল শোভাযাত্রা। বিকালে শোভাযাত্রা এসে ঈশ্বরদী পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে গণসংবর্ধনায় যোগ দেয়। এসময় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের ভিড়ে শহরের আলহাজ্ব মোড় থেকে রেলগেট এবং শহরে বাজার এলাকার চাঁদআলীর মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা কমিটির আহব্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র ও এই মামলার অন্যতম আইনজীবি জামিল আক্তার এলাহী।

প্রধান অতিথি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীকে সাড়ে ৫ বছর কারাবন্দি করে রেখেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। সেদিনের ঘটনায় একটি মানুষও আহত হয়নি। অথচ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিলো।

যা বিচার ব্যবস্থায় পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। অন্যায়ভাবে বিএনপির নেতাদের ফাঁসিসহ বিভিন্ন  দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিলো। যে বিচারক রায় দিয়েছিলেন, জনতার আদালতে বিচার করতে হবে।

প্রসঙ্গত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনবহর লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটে, পরে মামলা হয়। এ মামলায় নিম্ন আদালত ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়।

এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন ছাড়া বাকি সবাই প্রায় দুই মাস আগে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ জনের খালাসের রায় ঘোষণা করেন। এরপর তাদের খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সবার দেশে/এমকেজে