Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ৮ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৯:২৯, ৮ মার্চ ২০২৫

খুনি হাসিনা টিসিবির চালের বস্তায় লুকিয়ে

খুনি হাসিনা টিসিবির চালের বস্তায় লুকিয়ে
ছবি: সবার দেশ

নীলফামারীতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বিতরণকৃত চালের বস্তায় এখনো পতিত সরকারের নাম ও স্লোগান বিদ্যমান রয়েছে। বস্তাগুলোর গায়ে স্পষ্টভাবে লেখা ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’। 

অথচ ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারের পক্ষ থেকে এ নাম ও স্লোগান মুছে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না স্থানীয় খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের দৌরাত্বকে ঘিরে। তারা নানাভাবে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের প্রচার প্রচারনা ও পুনবার্সন করে যাচ্ছেন।

এলাকাবাসী মনে করছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। তবে সে সরকারের প্রতিনিধি ও প্রেতাত্মারা এখনও কিছু কিছু জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে এবং খুব সুকৌশলেই তাদের কাজ করে যাচ্ছে। যে সরকারের শাসনে আপামর জনসাধারন জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছে, সে সরকারের নাম এখন আবার চালের বস্তায় দেখতে পাওয়া এ জাতির জন্য জন্য অপমানজনক।

এলাকাবাসী অনেকেই জানান, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানেই তো জনগণ সে ফ্যাসিবাদী শাসনকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এখন আবার পুরনো সরকারের নাম কেনো? এটা মনে হয়, সে পুরনো স্বৈরাচারের পুনরুত্থান। 

৫ আগস্টের পর বস্তায় শেখ হাসিনার নাম মুছে দেয়া হচ্ছিলো। কিন্তু এখন আবার সে নাম লেখা বস্তা আসছে। জনগণের আন্দোলনেই স্বৈরাচারী শাসন শেষ হয়েছে। এ নামগুলো মুছে ফেলার জন্য প্রশাসনের আরও তৎপর হওয়া উচিত, কারণ জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে।

ডিমলা উপজেলার টিসিবির পণ্য সরবরাহকারী ডিলারগন ‘সবার দেশ’ প্রতিনিধিকে জানান, অন্যান্য জেলাগুলোতে টিসিবির বস্তা পরিবর্তন করা হলেও নীলফামারীতে এর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাদের দাবী, আমাদের যেসব বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে আমরা তাই ব্যবহার করে আসছি। কোনও কোনও জায়গায় বস্তা পরিবর্তন এবং বস্তার গায়ের স্লোগান লেখাটি কালো কালি দিয়ে মেশানো হলেও আমাদের বেশিরভাগ বস্তাতেই এখনও এসব পরিবর্তন করা হয়নি এবং এ বিষয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস থেকেও আমাদের কোনও নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুহুল মোছাদ্দেক জানান, শেখ হাসিনার নাম ও স্লোগান থাকার কথা নয়। যদি এমন হয়ে থাকে, তবে এটা অন্যায় হয়েছে। তবে বিষয়টি ওসি এলএসডির দেখার দায়িত্ব বলে তিনি দায় এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান মোহাম্মদ আজিজুল হাকিম জানান, নাম মুছে ফেলার কাজ চলমান রয়েছে। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু বস্তা থেকে যেতে পারে। আমরা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করছি।

এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ আতিকুল হক জানান, বস্তা পরিবর্তন এ মুহূর্তে করা কঠিন। কারণ, এত বস্তা হুট করে সরবরাহ করা সম্ভব নয়। তবে নাম ও স্লোগান মুছে ফেলার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এলএসডি হতে পুরনো স্লোগান সম্বলিত বস্তা যাতে সরবরাহ করা না হয় সে বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সাথে তিনি দেখবেন বলে দাবী করেন।

সবার দেশ/এনএন