অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেফতার খলিল
৭ বছরের সাজা এড়াতে ২২ বছর আত্মগোপন

২০০৩ সালে পটুয়াখালীতে একটি ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত হোন খলিলুর রহমান। এ ঘটনায় মামলা হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ২০০৮ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অবশেষে ২২ বছর পলাতক থাকার পর র্যাবের হাতে গ্রেফতার হোন খলিল।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে রাজধানীর মিরপুরের গুদারাঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার খলিলুর রহমানের বয়স ৪৫ বছর। এলাকায় তিনি খলিল প্যাদা নামে পরিচিত। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার তাফালবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটুয়াখালী র্যাব-৮–এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তুহিন রেজা।
র্যাব জানায়, ২০০৩ সালে একটি ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত হন খলিলুর। এ ঘটনায় মামলা হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বরে পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালত দণ্ডবিধি-৩৯৭ ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। ওই ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরে তার অনুপস্থিতিতে ২০০৯ সালের ১৮ মার্চ পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। আদালত থেকে পরোয়ানা জারির ১৬ বছর পর র্যাব-৮–এর অভিযানে গ্রেফতার হলেন খলিল।
র্যাব-৮ জানায়, আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় খলিলুর পরিচয় লুকিয়ে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় মুদিদোকান চালাচ্ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের পর ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পটুয়াখালীতে এনে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
সবার দেশ/কেএম