সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিবাদ
বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি
মানবাধিকার সংগঠনগুলো দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা মনে করে, সত্য প্রকাশ করার অপরাধে একজন সাংবাদিককে এভাবে হেনস্তা করা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হুমকি।

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যেখানে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনার সত্যনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক মোঃ শামীম শাহরিয়ারকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের সময় মোঃ শামীম শাহরিয়ার বিএনপির ছয়-সাতজন প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি কোনো পক্ষ নেননি, বরং সংঘর্ষের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছেন। সংঘর্ষ উভয় দলের মধ্যেই হয়েছে, তাই দোষও উভয় দলেরই। কিন্তু তার এ নিরপেক্ষ প্রতিবেদনের পর জামায়াতের কিছু ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কটূক্তি করে।
এ ঘটনায় সাংবাদিক মোঃ শামীম শাহরিয়ার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমি কোনো পক্ষপাতিত্ব করিনি। আমি শুধু বিএনপির ছয়-সাতজন প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য সংবাদ আকারে প্রকাশ করেছি। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা আমার মানহানি করছে। সংঘর্ষ দুই দলের ভেতরেই হয়েছে, এখানে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো ভূমিকা নেই। আমি আশা করি, সরকার ও প্রশাসন এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এ ঘটনার পর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করেছে। সংগঠনগুলোর নেতারা বলেছেন, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তাদের হুমকি ও অপমানিত করা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং তাদের নির্ভয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়।
এছাড়া, মানবাধিকার সংগঠনগুলোও দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা মনে করে, সত্য প্রকাশ করার অপরাধে একজন সাংবাদিককে এভাবে হেনস্তা করা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হুমকি।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে—এমনটাই দাবি সাংবাদিক সমাজের।
সবার দেশ/কেএম