শরীয়তপুর সংঘর্ষের ৮ আওয়ামী বোমাবাজ গ্রেফতার

শরীয়তপুরের জাজিরায় পতিত আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীসহ (৫৪) আটজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও র্যাব-৮ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে। র্যাব জানিয়েছে, বরিশালের রুপাতলি এলাকায় র্যাব-৮ ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে বিকেল সাড়ে ৩টায় একটি সংবাদ ব্রিফিংয়ে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে শরীয়তপুর জেলার নাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুর রহমান জানান, পৃথক অভিযানে সংঘর্ষে জড়িত আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রোববার দুপুর পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিলো। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি।
সংঘর্ষের পেছনে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগের বিলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী এবং একই দলের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্যের লড়াই চলে আসছিল।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ শতাধিক হাতবোমা ব্যবহার করে। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ভাইরাল ভিডিওতে ধরা পড়ে বোমা নিক্ষেপের দৃশ্য
ঘটনার পরে সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দুই পক্ষের সমর্থকরা। অনেকের মাথায় হেলমেট ও হাতে বালতি রয়েছে, যেখান থেকে হাতে বানানো বোমা ছোড়া হচ্ছে এবং বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ধোঁয়া উঠছে।
চেয়ারম্যানের দায় অস্বীকার
ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা চলছে। থানাকে আগেই অবহিত করেছি। তবে শনিবারের সংঘর্ষে আমি জড়িত নই, এটি হয়েছে জলিল মাদবর ও সলাউদ্দিন মাস্টারের লোকদের মধ্যে।
সবার দেশ/কেএম