Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৩০, ৮ এপ্রিল ২০২৫

মাদকবিরোধী অভিযানে বাধা

নরসিংদীর এসপি হান্নানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

নরসিংদীর এসপি হান্নানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীতে মাদকবিরোধী অভিযান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল হান্নান মাদক সিন্ডিকেটের অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এস এম কামরুজ্জামান সামাজিক ও গণমাধ্যমে এসপির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিঘর আটাশিয়া এলাকায় একটি লটকন বাগান থেকে ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল গাফফার। উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য ছিল ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। আদালতের নির্দেশে গাঁজাগুলো ধ্বংস করার কথা থাকলেও তদন্তে উঠে আসে, তৎকালীন ডিবি ওসি কামরুজ্জামান স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে সেগুলো বিক্রি করে দেন।

গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এসপি হান্নান বিষয়টি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তে গাঁজা বিক্রির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এতে সংশ্লিষ্ট ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার পর ওসি কামরুজ্জামান আদালতসহ অন্যান্য কর্মকর্তার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। এরপর থেকেই এসপি হান্নানকে লক্ষ্য করে তিনি সামাজিক ও গণমাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জেলা পুলিশের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, ওসি কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এসপি হান্নান এ অপকর্মে বাধা দেয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

নরসিংদীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে এসপি হান্নানের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ। গত বছরের ৩০ আগস্ট দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই জেলায় মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম জোরদার হয়। ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে আসে, পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হয়। তবে কঠোর মাদকবিরোধী অবস্থানের কারণেই তিনি মাদকচক্রের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রের অভিমত।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

এসপি আব্দুল হান্নান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে ছয়জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

সবার দেশ/কেএম

সম্পর্কিত বিষয়: