Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ৮ এপ্রিল ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘আধিপত্য উৎসব’, খবরটা সুখের নয়

চান্দ বনাম বারেক, খেলাধুলা নয়—লাঠি ছোঁড়াছুঁড়ি!

স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য এখন জনপ্রিয় খেলা। ফিফা বা আইসিসির প্রয়োজন নেই, এখানে চান্দ বনাম বারেক হলেই যথেষ্ট। প্রতি মৌসুমে কিছু বাড়ি ভাঙবে, কিছু মানুষ হাসপাতালে যাবে, আর বাকিরা দাঁড়িয়ে করতালি দেবে।

চান্দ বনাম বারেক, খেলাধুলা নয়—লাঠি ছোঁড়াছুঁড়ি!
ছবি: সংগৃহীত

আবারও আলোচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। না, এবারও কোনো সাহিত্য উৎসব নয়, বিজ্ঞান মেলা তো নয়ই—এবার আয়োজন ‘আধিপত্য বিস্তারের গ্রাম্য অলিম্পিক’। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই কিংবদন্তি দল: চান্দ ও বারেক। মাঠ: তেরকান্দা গ্রাম। ইভেন্ট: লাঠি খেলা, বাড়িঘর ভাঙা, গালি ছোঁড়া ছুঁড়ি এবং অবশ্যই—‘আমরা কার চেয়ে কম কী?’ প্রতিযোগিতা।

ঘটনা শুরু রাতেই—একটি সিএনজি, একটুখানি লাঠি, আর ক্ষেপে যাওয়া কিছু ঐতিহাসিক মানুষ। চান্দপক্ষের একজনকে নাকি বারেকপক্ষ ‘লাঠির আদর’ দিয়েছে। ব্যস! গ্রামে ফায়ারওয়ার্কসের মতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের কানে যায়, তারা এগিয়ে আসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু চাইলে তো আর আগুনে জল ঢেলে তাকে চায়ের পানি বানানো যায় না!

ভোরবেলায় তেরকান্দা হয়ে ওঠে এক বিশাল যুদ্ধক্ষেত্র—যেখানে অলিম্পিক মশালের বদলে জ্বলছিল আগুনে রাগ, আর ব্যানার ছিলো না, কিন্তু বাড়ির টিন উড়ছিল বাতাসে। ২০টি বাড়ি যেনো ‘আধিপত্যের স্মারক’ হিসেবে চূর্ণবিচূর্ণ।

পুলিশ যথারীতি চারজনকে গ্রেফতার করে শান্তির বার্তা দেয়। ওসি সাহেব বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আর স্থানীয় জনগণ গুনছে বাড়ির জানালাগুলোর অবশিষ্ট কাঠামো।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য এখন জনপ্রিয় খেলা। ফিফা বা আইসিসির প্রয়োজন নেই, এখানে চান্দ বনাম বারেক হলেই যথেষ্ট। প্রতি মৌসুমে কিছু বাড়ি ভাঙবে, কিছু মানুষ হাসপাতালে যাবে, আর বাকিরা দাঁড়িয়ে করতালি দেবে।

সামাজিক বিজ্ঞানীরা একে বলছেন ‘গ্রাম্য পুঁজিবাদে আধিপত্যের প্রকাশ’। তবে কেউ কেউ বলছেন, এটা আসলে ‘টিকটক না থাকলে মানুষ কী করে?’ এর এক রকম বিকল্প বিনোদন।

সবার দেশ/কেএম

সম্পর্কিত বিষয়: