Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ১০ এপ্রিল ২০২৫

সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা আটক

সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা আটক
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা নুরুল আবছারকে আটক করেছে কক্সবাজারের রামু থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোরে কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ায় আবদুল গণি মাঝির বাড়ি থেকে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক নুরুল আবছার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দনপুরা গ্রামের মৃত কাজী মো. জাবেদের ছেলে। স্থানীয়দের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রামুর ওই এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত হয়।

কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শাব্বির হোসেন বাদশা বলেন, আত্মগোপনে থাকার খবর পেয়ে বিএনপি নেতা এনামুল হক ও হানিফ জিহাদীর নেতৃত্বে এলাকাবাসী বাড়িটি ঘিরে ফেলে। পরে রামু থানা পুলিশ এসে তাকে আটক করে।

রামু থানার ওসি ইমন চৌধুরী জানান, নুরুল আবছার বর্তমানে রামু থানা হেফাজতে রয়েছেন। রাঙ্গুনিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে একাধিক ব্যক্তি মিথ্যা ও রাজনৈতিক সাক্ষ্য দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ ওঠে, এসব সাক্ষ্যের মধ্যে কিছু ‘মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ছিলো। এ প্রেক্ষাপটে নুরুল আবছারের ভূমিকা নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্যের অভিযোগে কোনও মামলা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে আটক করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে বিচারের নামে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি নিধণের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাকা চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। ২০১৫ সালে সে রায় কার্যকর করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এ রায়ের নির্ভরযোগ্যতা ও সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে বিতর্ক ছিলো।

সবার দেশ/কেএম