Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

‘মেঘনা উপজেলা মানবকল্যাণ সংগঠন’ আয়োজিত

মেঘনায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা কর্মসূচি 

মেঘনায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা কর্মসূচি 
ছবি: সবার দেশ

কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার লুটেরচর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামে গত ১৯ মার্চ, ২০২৫ শনিবার একটি বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। 

‘মেঘনা উপজেলা মানবকল্যাণ সংগঠন’ আয়োজিত এ মানবসেবামূলক উদ্যোগে স্থানীয় জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও আন্তরিক সহযোগিতা কর্মসূচিটিকে আরও প্রাণবন্ত ও সার্থক করে তুলেছে। এলাকাবাসীর উৎসাহ এবং সমর্থন আয়োজকদের ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম আরও বৃহৎ পরিসরে পরিচালনার জন্য নতুন করে অনুপ্রাণিত করেছে।

কর্মসূচিটি সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলবে, যেখানে এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষ বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের উদ্যোগ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেকেই অর্থাভাবে বা দূরত্বের কারণে নিয়মিত চক্ষু চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ও আয়োজনের বিবরণ  

অনুষ্ঠানে মেঘনা উপজেলা মানবকল্যাণ সংগঠনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:  

  • প্রিন্সিপাল আমির হোসেন, উপদেষ্টা  
  • প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম, উপদেষ্টা  
  • প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী, উপদেষ্টা  
  • এস এম ওবায়েদ, উপদেষ্টা  
  • কথা সাহিত্যিক পিয়ারা বেগম, উপদেষ্টা  
  • রেজুল হক বাবুল, উপদেষ্টা  

এছাড়া সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:  

  • শাকিব মিয়াজি, প্রেসিডিয়াম সদস্য  
  • মিজান ভূইয়াঁ, প্রেসিডিয়াম সদস্য  
  • রাইয়ান জহির  
  • মুহিউদ্দিন মুহিন 

সংগঠনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরাও এ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চিকিৎসা সেবা প্রদান, রোগী নিবন্ধন, এবং সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা নিশ্চিত করা হয়।

কর্মসূচির গুরুত্ব ও প্রভাব 

এ চক্ষু চিকিৎসা সেবা কর্মসূচি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সংহতি ও সম্প্রীতি জোরদার করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ উদ্যোগে অংশ নিয়ে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। 

আয়োজকদের মতে, এ ধরনের কর্মসূচি গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

মেঘনা উপজেলা মানবকল্যাণ সংগঠনের একজন কর্মকর্তা জানান, আমরা এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ কর্মসূচির সাফল্য আমাদের ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ করার প্রেরণা যোগাবে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা তাদের প্রচেষ্টাকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে।

সংগঠনের​​​​​​​ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

মেঘনা উপজেলা মানবকল্যাণ সংগঠন ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সংগঠনটি চক্ষু চিকিৎসার পাশাপাশি সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এছাড়া, স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার মাধ্যমে তারা এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখতে চায়।

প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য

মেঘনা উপজেলার মতো গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা এখনও অনেক ক্ষেত্রে সীমিত। বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসার মতো বিশেষায়িত সেবা পেতে অনেকেই শহরাঞ্চলে যেতে বাধ্য হন, যা সময় ও অর্থের দিক থেকে চ্যালেঞ্জিং। এমন প্রেক্ষাপটে মেঘনা উপজেলা মানবকল্যাণ সংগঠনের এ উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের জন্য একটি আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এ কর্মসূচির সাফল্য অন্যান্য সংগঠন ও স্থানীয় প্রশাসনের জন্যও একটি অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে এ ধরনের উদ্যোগ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব।

সবার দেশ/কেএম