Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপি নেতার সঙ্গে জুলাই হত্যা মামলার আসামির ছবি ভাইরাল  

বিএনপি নেতার সঙ্গে জুলাই হত্যা মামলার আসামির ছবি ভাইরাল  
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলোর সঙ্গে সাভার পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জুলাই হত্যা মামলার আসামি মো.আব্দুর রহিমের তোলা একাধিক ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার পর্যন্ত এমন পাঁচটি ছবি ফেসবুকসহ গণমাধ্যম কর্মিদের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রহিম নোয়াখালীর সদরের এওজবালিয়া ইউনিয়নের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। বর্তমানে তিনি পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি। গত বছরের ৫ আগস্টের আগে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নোয়াখালী জেলা শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাভার পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।‌ ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক করা হয় জেলা বিএনপির বিদায়ী কমিটির সদস্য মাহবুব আলমগীর। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. আব্দুর রহিম ঢাকার সাভারে থাকেন। তিনি সাভারের জুলাই হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।  সাভার থানায় যাহার মামলা নং-৬ ও ২৯।  সম্প্রতি নিজ জেলার বিএনপি আহ্বায়কের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা ঝড় ওঠে।

ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, স্বেচ্ছসেবক লীগ নেতা আব্দুর রহিমের গায়ে কালো ব্লেজার ভেতরে সাদা শার্ট। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়কের বাসায় গিয়ে তার গলায় ও নিজের গলায় ফুল দিয়ে ছবি তুলেছেন। আরেক ছবি রহিমের পরনে সাদা শার্ট। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গায়ে কালো টি-শার্ট ও পরনে লুঙ্গি। জেলা বিএনপির আহ্বায়কের গলায় ও রহিমের গলায় ফুলের মালা। এরপর নিজেসহ সাথে থাকা অন্যদের গলায়ও ফুলের মামলা দিয়ে ছবি তুলেন।

এদিকে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্তস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। মাজার এলাকার দুটি ছবিতে দেখা যায় সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত বিএনপি নেতা আলো, কালো ব্লেজার ও সাদা শার্ট গায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রহিম। বিএনপি নেতা আলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রহিমের কাঁধে হাত রেখে হাঁটছেন। আরেকটি ছবিতে কানে কানে কথা বলছেন। এর কিছুটা পাশাপাশি দাঁড়ানো ছিলো বিএনপিও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মিরা।

অপরদিকে, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সাথে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লগে নেতা রহিমের একাধিক ছবি রয়েছে ফেসবুকে। এছাড়া সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলমের রাজীবের সাথেও তার একাধিক ছবি ও আওয়ামী লীগের ব্যানারে ফেস্টুন দেখা যায়।  

যোগাযোগ করা হলে সাভার পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুর রহীম সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ভুল নম্বরে কল দেয়া হয়েছে দাবি করে তাৎক্ষণিক মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন করে দেন। তবে এর আগে, অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আব্দুর রহিম একাধিক গণম্যাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আমার চাকরির কারণে ছবি তুলতে হয়েছে। আমি বিএনপি করি। সাভার বিএনপিতে আছি। আমার বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগের মামলায় জেল খেটেছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, আব্দুর রহিম আমার আত্মীয় হয়। আমি জানি তিনি বিএনপি করে। সাভারে কি করে সেটা আমার জানা নেই। সে আমার চাচাতো ভাইয়ের আপন শ্যালক। আমাদের কাছে কত রকমের লোক আসে। বিষয়টি পারিবারিক। সে জুলাই হত্যা মামলার আসামি এটি ভুয়া। রহিম অন্ধ কল্যাণ সমতিতে চাকরি করে। তাদের সমিতিতে সরকারি লোকদের প্রায়োরিটি দেয়া হতো।

সবার দেশ/কেএম