দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গাইবান্ধায় পত্রিকা বিক্রেতা নিহত

গাইবান্ধা জেলা শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়কে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রায় রাত দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আনিস মিয়া ঠান্ডা (৩৭) নামে এক অটোবাইক চালক নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কিশামত ফলিয়া গ্রামের পিতা মরহুম হামিদ মিয়ার ছেলে এবং ভ্রাম্যমান পত্রিকা বিক্রেতা।
জানা গেছে, আনিস মিয়া ঠান্ডা প্রায় ২০ বছর ধরে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পত্রিকা বিক্রি করতেন। পত্রিকা বিক্রি করার পর তিনি প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অবসর সময়ে অটোবাইক চালাতেন।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় কয়েকজন অপরিচিত দুর্বৃত্ত যাত্রী সেজে স্টেডিয়ামের কাছে যাওয়ার কথা বলে তার অটোবাইকে ওঠে পড়ে। সেখানে যাওয়ার পর ওই দুর্বৃত্তরা আনিসের কাছে ধস্তাধস্তি করে অটোবাইকের চাবি চায়। তিনি চাবি দিতে অপারগতা জানালে দুর্বৃত্তরা এক পর্যায়ে ছুরি বের করে আনিসের পেটে এলোপাথারি আঘাত করে। আঘাতে তার পেটের নাড়িভুড়ি বের হয়ে তিনি অটোবাইকসহ ছিটকে পড়েন। এসময় আনিস অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ভোরবেলা ওই সড়কে চলাচলকারী এক পথচারী আনিসকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। পরে তাকে চিনতে পেরে তার বাড়িতে খবর দেন। এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যা্রয়অ হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে আনিস মারা যান।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পত্রিকা বিতানের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রহমান জানান, আনিস দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধা শহরে পত্রিকা বিক্রি করে আসছেন। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুল হক তালুকদার জানান, স্টেডিয়াম এলাকায় এক যুবক দুর্বৃত্তের আঘাতে নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এখনও কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সত্যতা যাছাই করে অপরাধীদের ধরার জন্য বিশেষ নজর রেখে ইতিমধ্যে পুলিশের টিম কাজ করছে বলে জানা গেছে।
এ হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা না করলেও মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
সবার দেশ/কেএম