Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

৫ দিনেও মামলা নেয়নি তালতলী থানা

ভাবীর সহযোগিতায় কিশোরীকে গণধর্ষণ

ভাবীর সহযোগিতায় কিশোরীকে গণধর্ষণ
প্রতীকি ছবি

বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ি ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া এলাকায় ভাবীর সহযোগিতায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিম নামে এক যুবক ও তার চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। 

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ধর্ষকের প্রতিবেশী ভাবী রিনা বেগম নামে এক নারীর বিরুদ্ধেও, যিনি কিশোরীকে ফাঁদে ফেলতে সহায়তা করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। 

গত ৫ দিন ধরে ভুক্তভোগী পরিবার তালতলী থানায় গেলেও মামলা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালালের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, রিনা বেগম ইব্রাহিমের সঙ্গে কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে রিনা বেগমের বাড়িতে কিশোরী ও তার মাকে ডেকে আনা হয়। কিশোরীর মায়ের অজান্তে, রিনা বেগম কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইব্রাহিমের সঙ্গে মোটরসাইকেলে পাঠিয়ে দেন। ইব্রাহিম তাকে রাত ১০টার দিকে নকরী খেয়াঘাটে নিয়ে যান। খেয়া না পেয়ে একটি মাছের ঘেরে কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে ইব্রাহিম ও তার চার বন্ধু রাতভর গণধর্ষণ করেন। সকালে কিশোরীকে ২০০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে ইব্রাহিম ও তার বন্ধুরা পালিয়ে যান।

কিশোরী জানান, ইব্রাহিমের সঙ্গে তার আগে কোনও পরিচয় ছিলো না। রিনা ভাবী তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইব্রাহিমের সঙ্গে পাঠান। ধর্ষণের পর ইব্রাহিম তাকে বলেন, তিনি কিশোরীকে ৫০ হাজার টাকায় রিনার কাছ থেকে কিনেছেন এবং বিয়ে করবেন না। এরপর ২০০ টাকা দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

কিশোরীর বাবা বলেন, তিনি মেয়েকে উদ্ধারের পর ইউপি সদস্য শাকিল খানসহ থানায় একাধিকবার গিয়েছেন। মেয়ে পুলিশকে বিস্তারিত জানালেও ওসি কোনও ব্যবস্থা নেননি। জিডি করতে চাইলেও নানা অজুহাতে ইব্রাহিমকে থানায় ডাকার কথা বলা হয়। তিনি মেয়ের জন্য বিচার চান।

ইউপি সদস্য শাকিল খান বলেন, তিনি পরিবারের সঙ্গে থানায় গিয়েছিলেন, কিন্তু ইব্রাহিমের সঠিক পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ মামলা নেয়নি এবং আলামত রাখতে বলেছে।

তালতলী থানার ওসি মো. শাহজালাল দাবি করেন, তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ বা বক্তব্য পাননি। নিখোঁজের তথ্য পেয়ে জিডি করতে ছবিসহ আসতে বলেছিলেন। পরে পরিবার জানায় মেয়ে পাওয়া গেছে, এরপর তারা চলে যান।

বরগুনা পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, তিনি ঘটনাটি সম্পর্কে জানেন না। তবে ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

সবার দেশ/কেএম