আন্তর্জাতিক সীমানায় বেড়া নির্মাণ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা
বিজিবি জওয়ানদের পাশে দাঁড়াল জনগণ
বর্তমান সময়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনার কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের মধ্যে যে একধরনের "প্রসাধনী প্রলেপ" ছিল, তা এখন ধুয়ে গিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা ও বিরোধের প্রকাশ ঘটছে।
ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং সীমান্তে স্থাপনা তৈরির চেষ্টা বাংলাদেশে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, নওগাঁসহ সীমান্তবর্তী এলাকায়।
বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে একাধিক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও, সমঝোতা অর্জিত হয়নি। সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশী জমিতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করছে। বিজিবি বাধা দেওয়ার পরও অনেক ক্ষেত্রে আবারও শুরু হয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে সীমান্তে উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে।
এছাড়া, সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষত, সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী একটি বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে, যা সীমান্ত হত্যার নতুন একটি উদাহরণ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ হত্যাকাণ্ডগুলোকে সমাধান করতে গঠনমূলক পদক্ষেপের অভাব দেখা গেছে।
এদিকে, বিএসএফ সীমান্তে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে এবং সীমান্তে নজরদারি তীব্র করেছে। তাদের ডিআইজি জানিয়েছেন, সীমান্তে সেন্সরযুক্ত ক্যামেরা এবং অন্যান্য গ্যাজেটের মাধ্যমে টহল আরও শক্তিশালী করা হয়েছে এবং যেকোনো অনুপ্রবেশের চেষ্টা শনাক্ত করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এমতাবস্থায়, দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। এটা ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক এবং সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যদি এখনই এসব সংঘর্ষ বা উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়া হয়।
সবার দেশ/কেএম