দুদকের করা দুর্নীতির মামলা
আ’লীগ এমপির ৮ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মিজানুর রহমানের আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহেরের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের শুনানি করতে এদিন কারাগার থেকে মামলার একমাত্র আসামি খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি মিজানুরকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজার পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিন আসামিপক্ষ আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, রায়ে মিজানুরকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের পৃথক দু'টি ধারায় পাঁচ ও তিন বছর করে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সে সাথে ৩০ হাজার এবং ২০ হাজর টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
তিনি আরো বলেন, উভয় ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বিধায় তাকে (মিজানুর) মোট পাঁচ বছরের সাজাভোগ করতে হবে। এর পাশাপাশি মামলায় উল্লেখিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ৪৪ লাখ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত। মামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়ায় রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথাও জানান এ আইনজীবী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। পরে তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ মামলায় গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিন ঠিক করেন আদালত।
মামলায় তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছিলো।
সবার দেশ/এমকেজে