Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

দেওয়ান সমিরকে চিনি না: আদালতকে মেঘনা আলম

‘শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার সম্পর্ক’

‘শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার সম্পর্ক’
ফাইল ছবি

মডেল মেঘনা আলম আদালতে দাবি করেছেন, তার একমাত্র সম্পর্ক ছিলো সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গে, অন্য কারও সঙ্গে নয়। তিনি ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরকে চেনেন না বলেও জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম মেঘনা, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

মামলায় বলা হয়, ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় গোপন বৈঠকে মেঘনা ও সমিরসহ কয়েকজন একজন কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের পরিকল্পনা করেন। তবে কূটনীতিকের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি।

আদালতে মেঘনা বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিলো। তিনি অভিযোগ করেন, আমি তার সন্তান নষ্ট করেছি, তা সত্য নয়। তিনি আরও দাবি করেন, তাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং আইনজীবী দেয়া হয়নি।

দেওয়ান সমির আদালতে বলেন, মেঘনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমাকে তার বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে, এটি ভুল। আমি একজন সাধারণ মানুষ, রেমিটেন্স যোদ্ধা। এ মামলার ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।

আদালত মেঘনাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৯ এপ্রিল বসুন্ধরার বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা। পরদিন বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেয়া হয়। সমিরকে ১১ এপ্রিল ভাটারা থানার আরেক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

মেঘনার বাবা বদরুল আলম দাবি করেছেন, তার মেয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতারণার শিকার। তিনি ন্যায়বিচার ও মেয়ের নিরাপত্তার দাবি জানান।

এদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জানান, মেঘনা ও সমির একটি চক্রের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিকদের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছিলেন।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, মেঘনার গ্রেফতার প্রক্রিয়া সঠিক ছিলো না। হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেছে। তবে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সবার দেশ/কেএম