সীমান্তে অনুপ্রবেশ সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি
ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ। এর মধ্যে রয়েছে চোরাকারবারি, সন্ত্রাসী, পকেটমার, দিনমজুর ইত্যাদি। গত ৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ৭ ভারতীয়কে আটক করে বিজিবি ও স্থানীয় জনগন।
৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর এরকম ঘনঘন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে বিজিবির হাতে। প্রশ্ন উঠেছে, বিগত বছরগুলোতে কেনো আমরা এমনটি দেখিনি? তবে কী ওই সময়গুলোতে কোনও অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশে আসেনি? এটা কী শুধু ৫ আগষ্টের পরই শুরু হলো? এটাই যদি হয় তবে বিষয়টি হবে ভয়ংকর। তবে কি আমাদের রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতেই তারা এদেশে অনুপ্রবেশ করছে? করে থাকলে কার ইশারায় এসব হচ্ছে, প্রশ্ন রেখে গেলাম।
ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী ৫ আগষ্টের পরই শুরু হয়েছে ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। এমনটা ছিলো বিগত বছরগুলোতেও। সীমান্তে স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বিগত বছরগুলোতে অনুপ্রবেশকারী আরও বেশি ছিলো। কিন্তু আওয়ামী সরকারের সাথে ভারতীয় মৌলবাদী মোদী সরকারের মাত্রাতিরিক্ত মাখামাখির কারনে বিজিবি সীমান্তে কোনও প্রটেকশন দেয়নি। এমনকি অনুপ্রবেশকারী জেনেও ওদের আইনের আওতায় নেয়নি শুধু ভারতকে খুশি করার জন্য।
সময় বদলেছে। ৫ আগষ্টের পর বিজিবি এখন পিঠের পরিবর্তে বুক দেখাচ্ছে বিএসএফকে। গত কিছুদিন ভারত সীমান্ত কাঁটাতারের অবৈধ বেড়া নির্মাণ করতে গিয়ে বিজিবির প্রতিরোধে তা ব্যর্থ হয়েছে। কোদলা নদীর ৫ কিলোমিটার বেদখল হওয়া পূনরুদ্ধার করেছে বিজিবি। ৮ জানুয়ারি আবারও নওগাঁ সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করতে এলে বিজিবি ও স্থানীয় জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধে বিএসএফ পিছু হটেছে।
প্রতিবেশি দেশের প্রতি আহ্বান, অনুপ্রবেশের খেলা বন্ধ করুন! পলাতক হাসিনাসহ বাংলাদেশের আরও কোন অনুপ্রবেশকারী আপনাদের নিকট থাকলে উপযুক্ত প্রমানসহ ফেরত দিন। আমরা সানন্দে গ্রহণ করবো। আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূলকথা, কারও সাথে শত্রুতা নয়, সবার সাথেই বন্ধুত্ব।
সম্পাদক
১০ জানুয়ারী ২০২৫