শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বড় পদক্ষেপ
১৩৫টি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ

দেশের শিক্ষা খাতে গতিশীলতা ও উৎকর্ষতা আনতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দেশের ১৩৫টি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৩৫ জন অধ্যাপককে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দুটি প্রজ্ঞাপনে ৪৯ জন করে এবং তৃতীয় প্রজ্ঞাপনে ৩৭ জন অধ্যাপককে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়োগের ফলে কলেজগুলোতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নিয়োগপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাই দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রেখে আসছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
নিয়োগের শর্ত ও সময়সীমা:
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্ত এসকল অধ্যক্ষদের আগামী ১৭ এপ্রিল ২০২৫-এর মধ্যে তাদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হতে হবে। এ সময়ের মধ্যে অবমুক্ত না হলে ওই তারিখ থেকে তারা তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। এ নির্দেশনা কঠোরভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য:
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ নিয়োগের মাধ্যমে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। নতুন অধ্যক্ষরা তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও ভালো পরিবেশ তৈরি করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
শিক্ষাবিদদের প্রতিক্রিয়া:
শিক্ষাবিদরা এ নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কলেজগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের বিষয়টি ঝুলে ছিলো। এ উদ্যোগ শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন অধ্যক্ষদের দায়িত্ব গ্রহণের পর তাদের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি, কলেজগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য আরও উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ নিয়োগ দেশের শিক্ষা খাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। নতুন অধ্যক্ষদের দক্ষ নেতৃত্বে কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় ও ফলপ্রসূ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম