গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে জামায়াত-ছাত্রদলের কর্মসূচি

গাজায় ইসরায়েলের উপর্যুপরি বিমান হামলা ও ভয়াবহ গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াত। এ উপলক্ষে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জনের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি। এর ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
তিনি আরও জানান, গত ১৮ মার্চের বিমান হামলা ছিল যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই হামলায় নারী-শিশুসহ একদিনেই চার শতাধিক মানুষ নিহত হন। ইসরায়েলের এ আক্রমণ যুদ্ধবিরতির সরাসরি লঙ্ঘন এবং তাদের যুদ্ধবাজ জঙ্গি মনোভাবের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।
গোলাম পরওয়ার দলের সকল শাখা ও সাধারণ জনগণকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের শহীদ ও আহতদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে এবং বিশ্বব্যাপী ঘোষিত ‘ওয়ার স্টপ ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, মঙ্গলবার (৮ ৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। একই দিনে দুপুর ১২টায় প্রতিটি শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল সহকারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে গিয়ে সম্মিলিত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রদলের বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকা এখন এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। অবৈধ দখলদার ইসরায়েল নারী, শিশু, বৃদ্ধ—কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না। অথচ বিশ্ব সম্প্রদায় এখনো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী বর্বরতার নিন্দা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। বিশ্ববাসীর এ নির্লিপ্ততাই আরও ভয়াবহ পরিণতির ইঙ্গিত দেয়।
ছাত্রদল গাজার শহীদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে এবং দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-ভিত্তিক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সকল ছাত্রজনতাকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
এ প্রতিবাদ কর্মসূচি শুধু একাত্মতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষার দাবির একটি গঠনমূলক বার্তা বলেও মনে করছে সংগঠন দুটি।
সবার দেশ/কেএম