এক বছরে লোকসান চার হাজার কোটি টাকার অধিক
ভর্তুকিতে চলছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার, অব্যবস্থাপনা, প্রকল্পের অর্থ লুটপাট, পরিবেশের ক্ষতি ইত্যাদি নিয়ে নানাহ অভিযোগ ছিলো প্রকল্পটির শুরু থেকেই। এতো কিছুর পরও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার সবকিছুর তোয়াক্কা করে প্রকল্প বাস্তবায়নে ছিলো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন- গত এক বছরেও সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি কেন্দ্রটি থেকে। বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও গত এক বছরে বাংলাদেশকে ভর্তুকি দিতে হয়েছে চার হাজার কোটি টাকারও বেশি।
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীর তীর ঘেঁষে বাগেরহাটের রামপালে ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেঞ্চারে নির্মাণ করা হয় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যায়নি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে।
উপরন্ত এক বছরের মধ্যেই দূষণের প্রভাব পড়েছে মোংলা উপকুলে। কোথাও মরে যাচ্ছে গাছপালা, আবার কোথাও গাছ পালা ফল শূন্য। নদনদীতে কমে গেছে মাছ। চাষের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে জমি। নানা রোগে আক্রান্তের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির মুখে উপকূলবাসী।
পরিবেশ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে পশুর নদের পানিতে পারদের পরিমাণ বেড়েছে ১০ গুণ। দূষণের কবলে পড়েছে সুন্দরবন ও মোংলা উপকূল।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার পারদে দূষিত হচ্ছে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীর পানি। পারদের মাত্রা বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। এতে উপকূলে মরে যাচ্ছে গাছপালা, নদ-নদীর মাছ। নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। ভারতের স্বার্থে অসম চুক্তির মাধ্যমে নির্মিত হয় এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দ্রুত বন্ধ করে দেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
সবার দেশ/এওয়াই