Advertisement

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪২, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

বিয়ের পর ‘ঠান্ডা’ হবেন বাঘিনী কন্যা

বিয়ের পর ‘ঠান্ডা’ হবেন বাঘিনী কন্যা
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজপথে ভুমিকার জন্য বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ফারজানা সিঁথি। স্লোগানে স্লোগানে মাঠ কাঁপানো সিঁথি পান বাঘিনী কন্যার তকমাও । 

আন্দোলনের সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সে ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। হাসিনা সরকার পতনের পর সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়েও ফের আলোচনায় আসেন সিঁথি। এখন তিনি বিনোদন জগতের বাসিন্দা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করছেন।

বর্তমানে প্রতিবাদী রূপ থেকে একটু শান্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন সিঁথি। তবে তিনি নাকি বিয়ের পর একদমই ঠান্ডা ও লক্ষী মেয়ে হয়ে যাবেন।

সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের প্রেম-বিয়ে নিয়ে অনেক অজানা কথা বলেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে রিলেশস্ট্যাটাস নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সিঁথি জানান, তিনি ভালোবাসতে ভালোবাসেন। 

সিঁথির কথায়, আমি ভালোবাসতে খুব ভালোবাসি। কিন্তু এ মুহুর্তে কোনো প্রেমে নাই। 

উপস্থাপিকার জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে ভাইরাল কন্যা অকোপটে স্বীকার করেন, ইন্টারে পড়ার সময় প্রথম প্রেমে পড়েন তিনি। তবে এ পর্যন্ত তিনি তিনটি প্রেম করেছেন, কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় প্রেম নিয়ে তেমন কিছু তার মনে না থাকলেও শেষ প্রেমের বিচ্ছেদ তাকে কষ্ট দিয়েছে।

সম্পর্কের বিচ্ছেদ নিয়ে সিঁথি বলেন, সম্পর্ক যেমন স্বাভাবিক, বিচ্ছেদও তেমন স্বাভাবিক। যখন মনে হবে আপনার সাথের মানুষটা ও তার সঙ্গে জিনিষপত্র গুলো ঠিকঠাক ওয়ার্ক করছেনা, বিষক্রিয়া সৃষ্টি না করে কষ্ট না করে বিদায় দেয়া ভালো।

এরপর প্রাক্তন আফসোস করে কিনা সে প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে সিঁথি বলেন, না আমার প্রাক্তন আমাকে নিয়ে খুশি এবং প্রাউড। আমাকে ফোন কল করে স্বাধিনতার শুভেচ্ছা দিয়েছিলো আগস্টের ৫ তারিখে।

তিনি জানান, তিনজনের মধ্যে শেষ দুজনই নাকি তাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে প্রথমজন সম্পর্কে তিনি বলেন, আরেকজন মরেটরে গেছে নিয়তো বিদেশ চলে গেছে জানিনা।

সিঁথি বলেন, আমি প্রেমের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ডেসপারেট হয়ে যাই। তুমি আমাকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিয়ে যাও আমি যুদ্ধ করে শেষ করেতে পারবো কিন্তু কেউ ভালোবেসে যুদ্ধ করতে এলে বিষ দিয়ে দিলেও আমি খেয়ে নিবো।

সিঁথির সঙ্গে আবারও কেউ প্রেম করতে চাইলে তার যোগ্যতা কী হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওইযে, ‘জাস্ট টেক মাই ইমোশনাল রেসপন্সেবলিটিস’ এইটুকু থাকলেই হবে। আমার আর কিচ্ছু লাগবে না।

বিয়ের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ফারজানা সিঁথি বলেন, ৫ বছরের মধ্যেও নাই। আমি তো খুব হোমসিক মানুষ। আমার বাবা বলেন, আমি যে এত চঞ্চল বিয়ের পর আমি নাকি ঠান্ডা এবং লক্ষী মেয়ে হয়ে যাবো।

সবশেষে সিঁথি বলেন, ভালোবাসা পাওয়ার জন্য নয় হারিয়ে ফেলার জন্য আমি অনেক কেঁদেছি। তবে চাইনি সেটা আবার ফিরে আসুক।

সবার দেশ/কেএম