ঈশ্বরদীতে লিচুর মুকুল সংকটঃ আর্থিক লোকসানের পথ মৌচাষিরা

পাবনার ঈশ্বরদীতে লিচুর মুকুলের অভাবে লোকসানের মুখে পড়েছে মৌচাষীরা। প্রতিবছর বসন্তের শুরুতে বিশেষ করে ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে মুকুলের মৌসুম এলে বিভিন্ন বাগানে মৌচাষিরা আসেন এবং মধু সংগ্রহ করে থাকেন। বিশেষ করে লিচুর বাগানগুলো মৌমাছির জন্য অন্যতম প্রধান উৎস হওয়ায় মৌচাষিরা সাধারণত এসব বাগানেই মৌমাছির বাক্স বসিয়ে থাকেন। কিন্তু এবছর লিচুর মুকুল না থাকায় মৌমাছির সংখ্যাও কম, ফলে মধু সংগ্রহও হচ্ছে সীমিত পরিমাণে।
১৭ই মার্চ (সোমবার) উপজেলার জয়নগর, মানিকনগর, বড়ইচারা, মিরকামারী, সাহাপুর, ভাড়ইমারী, জগন্নাথপুর, বক্তারপুর, আওতাপাড়া, বাঁশের বাদা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যেসব বাগানে প্রতিবছর মৌচাষীরা আসেন সেসব বাগানের অধিকাংশই মুকুলের অভাবে ফাঁকা পড়ে আছে।
শফিকুল ইসলাম নামে এক মৌচাষি জানান, তার মত শতশত মৌচাশি খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট থেকে প্রতিবছর লিচুর মুকুল থেকে ভালো পরিমাণে মধু সংগ্রহ করে আসছে। তবে এ বছর সম্ভব হচ্ছে না। তাই মৌচাষ প্রায় বন্ধের পথে। এতে মৌমাছির খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে, আর তারা পড়েছে বড় ধরনের আর্থিক লোকসানের মুখে।
তিনি আরও জানান, মৌমাছিরা ফুলের মধু সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে, আর মৌচাষিরা সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করে বাজারজাত করেন। কিন্তু লিচুর মুকুলের অভাবে মৌচাষিরা অন্য বিকল্পপথ খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন, যা তাদের জন্য আর্থিকভাবে অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
সবার দেশ/কেএম