স্পেসএক্সের স্টারলিংক সেবা চালু হচ্ছে মে-তে

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’-এর টেকনিক্যাল লঞ্চ আগামী মে মাসে শুরু হবে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর গ্লোবাল ইনগেজমেন্ট লরেন ড্রেয়ার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানান।
ড্রেয়ার বলেন, আমরা প্রায় শেষ ধাপে পৌঁছে গেছি। মে মাসে টেকনিক্যাল লঞ্চের জন্য আমি আমার টিমকে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে বলেছি। এ উদ্যোগটি অত্যন্ত সফলভাবে এগিয়ে চলছে।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বাংলাদেশের মানুষের উচ্ছ্বাসের কথা তুলে ধরে বলেন, এটি বাংলাদেশে একটি বড় খবর। মানুষ দিন গুনছে। লঞ্চের সময় এটি বড় উদযাপনের মাধ্যমে পালন করা উচিত।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, প্রাথমিকভাবে কারিগরি প্রক্রিয়া শুরু হবে, এরপর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু হবে। এতে ইলন মাস্কের আরেক প্রতিষ্ঠান পেপালের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, নিরাপত্তা উপদেষ্টা খালিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
স্টারলিংক সেবা চালু হলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, দুর্যোগপ্রবণ এলাকা এবং দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ বিশিষ্ট স্থানে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে যাবে। এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে, দুর্যোগকালীন নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্টারলিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে, স্থানীয় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা এবং নিয়ন্ত্রক অনুমোদনের বিষয়টি এখনো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) স্টারলিংকের স্থানীয় অংশীদার হিসেবে গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হতে পারে। সফলভাবে সেবা চালু হলে বাংলাদেশ বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে স্টারলিংক নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে, যেখানে বর্তমানে প্রায় ৪,৫১৯টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট কক্ষপথে রয়েছে।
সবার দেশ/কেএম