সরকারকে ৩৩ দিনের আলটিমেটাম
গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি ভারতে
শঙ্করাচার্যর কথায়, শাস্ত্রমতে একটি গরুর শরীরে ৩৩ কোটি দেব-দেবী বাস করেন। আমরা গত দেড় বছর ধরে গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছি। সরকারের উচিত গরুকে পশু হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ না করে ‘রাষ্ট্রমাতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া।

গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণা করা হোক। এমনই দাবি জানিয়ে এবার ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে দিলেন উত্তরাখণ্ডের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
৩৩ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে সরকার যদি এ ঘোষণা না করে, তাহলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। হিন্দু সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণা করা হোক।
তবে এতদিন এ দাবিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেন শঙ্করাচার্য। তিনি বলেন, আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রকে সময় দিলাম। এর মধ্যে গোমাতাকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তা যদি না করা হয়, তাহলে দিল্লির রামলীলা ময়দানে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গো প্রতিষ্ঠা নির্ণায়ক দিবস আয়োজন করা হবে। সেখান থেকেই এ দাবিতে আমরা আন্দোলনে নামবো। পরবর্তী রণকৌশল এখান থেকেই ঠিক করা হবে।
শঙ্করাচার্যর কথায়, শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে একটি গরুর শরীরে ৩৩ কোটি দেব-দেবী বাস করেন। আমরা গত দেড় বছর ধরে গরুকে 'রাষ্ট্রমাতা' হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছি। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, সরকারের উচিত গরুকে পশু হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ না করে ‘রাষ্ট্রমাতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া।
২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর গোপাল মণির নামক ধর্মীয় সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল ‘গো-ক্রান্তি মঞ্চ’। সেখানে চার শঙ্করাচার্য পীঠের সমর্থনে শুরু হয় এ আন্দোলন। ইতিমধ্যেই এ ইস্যুতে তিনটি গো সংসদ আয়োজিত হয়েছে। ২০২৪ সালে গোবর্ধন থেকে দিল্লি পর্যন্ত এ ইস্যুতে পদযাত্রাও করেন একাধিক হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। যদিও সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করা হয়নি। এবার আদাজল খেয়ে, ময়দানে নেমেছেন শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
তিনি বলেছেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি হলো গরুকে পশুর শ্রেণী থেকে বাদ দিয়ে 'রাষ্ট্রমাতা' ঘোষণা করা উচিত এবং গোহত্যাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত। রাজ্য সরকার স্কুল পাঠ্যক্রমে গরুকে অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে। কিন্তু সেখানেও যদি গরুকে পশু বলা হয়, তাহলে লাভ কী? সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস
সবার দেশ/এমকেজে