Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ৫ মার্চ ২০২৫

ট্রাম্পের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জেলেনস্কির দুঃখপ্রকাশ

ট্রাম্পের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জেলেনস্কির দুঃখপ্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে হওয়া সাম্প্রতিক বাকবিতণ্ডার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্র যে উদ্যোগ নিতে চাচ্ছে, সে পথেই ইউক্রেন এগোতে প্রস্তুত বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।  

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে (সাবেক টুইটার) দীর্ঘ পোস্টে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, আমি শান্তির প্রতি ইউক্রেনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। আমরা কেউই অনন্তকাল যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাই না। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার টেবিলে আসতে প্রস্তুত ইউক্রেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর এটি ছিলো জেলেনস্কির প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া। তবে, তিনি তার পোস্টে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু উল্লেখ করেননি।  

জেলেনস্কি আরও বলেন, যুদ্ধের অবসানে আমি এবং আমার দল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা দ্রুত এ সংঘাতের অবসান ঘটাতে চাই।  

তিনি যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য প্রথম ধাপ হিসেবে বন্দি বিনিময়, আকাশে মিসাইল ও ড্রোন হামলা বন্ধ এবং জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধের প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি, রাশিয়া রাজি হলে সমুদ্রেও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।   

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ইউক্রেনকে জ্যাভলিন মিসাইল দিয়েছিলেন, যা যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলে দিয়েছিলো। আমরা এর জন্য কৃতজ্ঞ।

হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে সাম্প্রতিক বাকবিতণ্ডার বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করে জেলেনস্কি বলেন, গত শুক্রবার আমাদের বৈঠকটি প্রত্যাশিতভাবে হয়নি। এটি সত্যিই দুঃখজনক। এখন সময় এসেছে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানোর এবং ভবিষ্যতে আরও গঠনমূলক সহযোগিতা নিশ্চিত করার।'

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ বিষয়ক চুক্তি করতে ইউক্রেন প্রস্তুত রয়েছে, যা দেশটিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হতে পারে।

সবার দেশ/এনএন