Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৮ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ০৪:০৫, ৮ মার্চ ২০২৫

জুলাই বিপ্লব

সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলো জাতিসংঘ

আমরা প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করি, যদি তারা এতে জড়িত হয়, তার অর্থ দাঁড়াবে তারা হয়তো আর শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশ থাকতে পারবে না। ফলশ্রুতিতে আমরা পরিবর্তন দেখলাম। 

সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলো জাতিসংঘ
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দমন-পীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। 

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেছেন। বিবিসি’র ওয়েবসাইটে বুধবার হার্ডটক অনুষ্ঠানের এ পর্ব প্রকাশ করা হয়। উপস্থাপক স্টিফেন সাকারের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তুর্ক। বলেন, আমি আপনাকে উদাহরণ দিচ্ছি, যেখানে এটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছিলো। 

আপনি জানেন জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্রদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বাংলাদেশে তখন শেখ হাসিনার সরকার, ছাত্রদের আন্দোলন দমনে ব্যাপক দমন-পীড়ন হচ্ছিলো, তাদের জন্য বড় আশার জায়গা ছিলো আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি।

আমরা প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করি, যদি তারা এতে জড়িত হয়, তার অর্থ দাঁড়াবে তারা হয়তো আর শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশ থাকতে পারবে না। ফলশ্রুতিতে আমরা পরিবর্তন দেখলাম। ভলকার তুর্ক বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটেছে, তা তদন্ত করতে বললেন। 

আমরা এগুলোই করেছিলাম। এবং এটা কার্যত সাহায্য করেছিলো। তিনি আরও বলেন, আমি গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমরা একটি অবস্থান নেয়ায়, আমরা কথা বলায় এবং তাদের সহযোগিতা করায় ছাত্ররা আমাদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ ছিলো। 

ওই পডকাস্ট অনুষ্ঠানে গাজা, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে ভলকার তুর্ককে প্রশ্ন করেন স্টিফেন সাকার। আন্তর্জাতিক আইন ও মূল্যবোধ মেনে বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই বাংলাদেশের উদাহরণ টানেন তুর্ক। এ ছাড়া সুদান, গাজার পরিস্থিতি নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। 

সুদান প্রসঙ্গে জাতিসংঘের ওই হাইকমিশনার বলেন, সেখানে যারা কাজ করছে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। গাজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানে যা হচ্ছে তা নিয়ে সকলেই উদ্বিগ্ন। ইউক্রেন প্রসঙ্গে তুর্ক বলেন, ওই যুদ্ধ বন্ধ করতে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।

সবার দেশ/এনএন