Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ১৮ মার্চ ২০২৫

সেহরির সময় ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা, নিহত ৩৪২

সেহরির সময় ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা, নিহত ৩৪২
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নতুন করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সেহরির সময় এ হামলা শুরু হয়, যেখানে এখন পর্যন্ত ৩৪২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫০ জনের বেশি শিশু ও ২৮ জন নারী রয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর গাজায় এই হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) দাবি করেছে, হামাসের সন্ত্রাসী অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

এ হামলায় গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াফাহ হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পবিত্র রমজান মাসের সেহরির সময় বিস্ফোরণ শুরু হয়। ২০টিরও বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজার সিটি, রাফাহ ও খান ইউনিসে হামলা চালায়।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমরা সেহরি খাচ্ছিলাম, তখনই হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। মুহূর্তেই চারপাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মঙ্গলবার সকালে এ হামলার নির্দেশ দেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাস বারবার জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি।

ইসরায়েলের এ হামলাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে আখ্যা দিয়েছে হামাস। তারা বলেছে, ইসরায়েল গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের একটি অজানা ভাগ্যের দিকে ঠেলে দিলো।

তবে হামাস এখনও যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দেয়নি, বরং জাতিসংঘ ও মধ্যস্থতাকারীদের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র ফক্স নিউজকে বলেন, হামলার আগে ইসরায়েল আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছে।

গাজায় চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েল বড় ধরনের হামলা চালাল। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এ হামলার পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও সংঘাত বন্ধের কোনো উদ্যোগ এখনও দেখা যাচ্ছে না।

সবার দেশ/কেএম