প্রকাশ হচ্ছে কেনেডি হত্যাকাণ্ডের গোপন নথি

ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে গোপন রাখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত ৮০ হাজার পাতার নথি প্রকাশ করতে যাচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই নথি জনসমক্ষে আসবে বলে জানা গেছে।
মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম জন এফ কেনেডির হত্যা। ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তিনি। এরপর থেকেই এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও গোপন চক্রান্তের জল্পনা চলে আসছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৩ সালে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরই ঘোষণা দিয়েছিলেন, জন এফ কেনেডি, তার ভাই রবার্ট এফ কেনেডি এবং নাগরিক আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ড নিয়ে গোপন নথি প্রকাশ করা হবে।
জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মার্কিন সরকার ও ওয়ারেন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, লি হার্ভে অসওয়াল্ড একাই হত্যাকাণ্ডটি চালান। তবে জনমত ভিন্ন কথা বলছে। ২০২৩ সালে গ্যালাপের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ৬৫% মার্কিন নাগরিক মনে করেন, অসওয়াল্ড একা ছিলেন না, হত্যার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র ছিলো।
ট্রাম্প প্রশাসনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং কেনেডির ভাতিজা রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, তার কাকার হত্যাকাণ্ডে সিআইএ জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ প্রকাশিত হতে যাওয়া নথিগুলোতে এসব গোপন তথ্য উঠে আসতে পারে।
প্রকাশিত নথির গুরুত্ব
- কেনেডির হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রকৃত ষড়যন্ত্র কী ছিলো?
- লি হার্ভে অসওয়াল্ড একা কাজ করেছিলেন, নাকি এর পেছনে বড় কোনো চক্র ছিলো?
- সিআইএ বা অন্য কোনো মার্কিন সংস্থা এর সঙ্গে জড়িত ছিলো কিনা?
- রবার্ট এফ কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য কী?
বিশ্লেষকদের মতে, এ নথিগুলো প্রকাশ হলে কেনেডির হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত বহু অজানা তথ্য সামনে আসবে এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলোর অনেকগুলোরই সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হবে।
নথি প্রকাশের ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিনিরা বছরের পর বছর ধরে সত্য জানতে চেয়েছে। এবার সবকিছু প্রকাশ করা হবে।
বিশ্বজুড়ে ইতিহাসবিদ, গবেষক এবং সাধারণ মানুষের কৌতূহল এখন এ নথিগুলোর দিকে। সত্যিই কি এতে নতুন কোনো বিস্ফোরক তথ্য আছে, নাকি পুরোনো বিতর্কের পুনরাবৃত্তি হবে—সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সবার দেশ/কেএম