ট্রাম্প-পুতিনের টানা দুই ঘণ্টা ফোনালাপ
কী কথা হলো তাহাদের সনে!
ট্রাম্পের এ ফোনালাপের মূল উদ্দেশ্য ছিলো রাশিয়াকে ৩০ দিনের জন্য অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানো। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে ছাড় দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন ট্রাম্প, যার মধ্যে অন্যতম রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্দেশ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা ফোনালাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত আটটার (বাংলাদেশ সময়) দিকে ট্রাম্প ও পুতিন ফোনে কথা বলা শুরু করেন। প্রায় ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের এ ফোনালাপের মূল উদ্দেশ্য ছিলো রাশিয়াকে ৩০ দিনের জন্য অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানো। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে ছাড় দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন ট্রাম্প, যার মধ্যে অন্যতম রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল।
চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। এরপর একই প্রস্তাব রাশিয়াকেও দেয়া হয়। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এখনো পুরোপুরি এতে সম্মত হননি।
গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন জানান, রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারে, তবে সেটি মূল সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান হতে হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বিস্তারিত জানতে হবে এবং এটি আমাদের স্বার্থ রক্ষার ভিত্তিতে হতে হবে।
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আলোচনার অংশ হিসেবে তিনি রাশিয়ার স্বার্থের কিছু বিষয় স্বীকার করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, যার মধ্যে ইউক্রেনের কিছু অংশ ও জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে তুলে দেয়ার প্রসঙ্গ এসেছে।
রাশিয়া জানিয়েছে, তারা কেবল তখনই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, যদি তাদের কৌশলগত স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে। বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে এবং এগুলোকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করছে।
হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ডান স্কাভিনো আলোচনার সময় এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট দিয়ে জানান ‘আলোচনা চলছে’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এ ফোনালাপের ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করেননি। তবে এটি স্পষ্ট যে, দুই নেতা দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেছেন এবং এটি যুদ্ধবিরতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির ইঙ্গিত দিতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি ট্রাম্প এ আলোচনা সফল করতে পারেন, তবে এটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বড় একটি মোড় পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি করবে। এখন দেখার বিষয়, পুতিন শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন কি না।
সবার দেশ/কেএম