Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৪৯, ২৩ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ০১:৫২, ২৩ মার্চ ২০২৫

অভ্যন্তরীণ সংকট তীব্র হচ্ছে

গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ইসরায়েল

ইসরায়েল বিজনেস ফোরাম (আবিএফ) হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি সরকার হাইকোর্টের আদেশ না মানে, তবে তারা ইসরায়েলের অর্থনীতি অচল করে দেবে। শ্রমিক ইউনিয়ন হিসতাদ্রুতের প্রধান আরমোন বার-ডেভিডও ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন।

গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ইসরায়েল
ছবি: সংগৃহীত

গাজার যুদ্ধের মধ্যেই তীব্র অভ্যন্তরীণ সংকটে পড়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের ফলে দেশটি গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহারন বারাক।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বহিষ্কার করেছেন। তবে দেশটির হাইকোর্ট আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করেছে। তবুও নেতানিয়াহু এটি কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা দেশটিতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ইসরায়েল বিজনেস ফোরাম (আবিএফ) হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি সরকার হাইকোর্টের আদেশ না মানে, তবে তারা ইসরায়েলের অর্থনীতি অচল করে দেবে। শ্রমিক ইউনিয়ন হিসতাদ্রুতের প্রধান আরমোন বার-ডেভিডও ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন।

ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহারন বারাক সতর্ক করেছেন যে, ইসরায়েল গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। জনগণের মধ্যে বিশাল বিভক্তি তৈরি হয়েছে, যা নিরসনের কোনো প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ করা হচ্ছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বুধবার জেরুজালেমে বিক্ষোভে একজন চালক এক বিক্ষোভকারীকে ধাক্কা দিয়ে আহত করেছে। আগামী দিনে গুলি চলবে, এরপর রক্তপাত হবে।

সাবেক প্রেসিডেন্টের এ মন্তব্যের পর নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ইসরায়েলে কোনও গৃহযুদ্ধ হবে না। সরকারই সিদ্ধান্ত নেয় শিন বেতের প্রধান কে হবেন।

তবে সমালোচকরা বলছেন, নেতানিয়াহু স্বৈরাচারী শাসকের মতো আচরণ করছেন। তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান এবং তার সহযোগীদের দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করতেই রোনেন বারকে বরখাস্ত করছেন।

শিন বেত প্রধানের বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। সাধারণ ইসরায়েলিরা রাজপথে নেমে আসছেন এবং নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্বৈরশাসনের অভিযোগ তুলছেন।

এর আগে গাজায় নতুন করে অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবরুদ্ধ করা হয়েছিলো। দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাইরের যুদ্ধের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সংকট এখন ইসরায়েলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ, আদালতের আদেশের প্রতি তার অবজ্ঞা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলের বিরোধিতা দেশটিকে ভয়াবহ অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সমঝোতা না হয়, তবে ইসরায়েল আরও গভীর সংকটে পড়তে পারে।

সবার দেশ/কেএম