লোহিত সাগরে সাবমেরিন ডুবে ছয় পর্যটকের মৃত্যু

লোহিত সাগরের হুরঘাদা উপকূলে একটি পর্যটকবাহী সাবমেরিন ডুবে গিয়ে রাশিয়ার ছয়জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ৩৯ জন বিদেশি পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) মিশরের পর্যটন শহর হুরঘাদার উপকূলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় গভর্নরের কার্যালয় ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছে, আর কোন যাত্রী বা ক্রু নিখোঁজ নেই এবং উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
লোহিত সাগর গভর্নরেট জানায়, ডুবে যাওয়া সাবমেরিনটির নাম ছিলো ‘সিন্দবাদ’, এবং এতে ৫০ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৪৫ জন বিদেশি পর্যটক ছিলেন, যারা রাশিয়া, ভারত, নরওয়ে এবং সুইডেন থেকে এসেছিলেন। এছাড়া ৫ জন মিশরীয় ক্রু সদস্যও ছিলো।
মিশরের রাশিয়ান কনস্যুলেট জানায়, ‘বিমানটিতে থাকা বেশিরভাগ যাত্রীকে উদ্ধার করে হুরঘাদায় তাদের হোটেল এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
সাবমেরিনটি বিশেষ ধরনের ছিলো, যা লোহিত সাগরের দর্শনীয় প্রবাল এবং সামুদ্রিক জীবন দেখার জন্য পর্যটকদের ব্যবহার করা হতো। এতে বড় পোর্টহোল ছিল, যা যাত্রীদের নিচে থেকে সামুদ্রিক দৃশ্য দেখতে সাহায্য করতো। এটি ২৫ মিটার গভীরতায় নামতে সক্ষম ছিলো।
এদিকে, মিশরীয় কর্তৃপক্ষ সাবমেরিনটির ডুবির কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে। সাবমেরিন দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের অবস্থা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল জানানো হলেও, কর্তৃপক্ষ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
লোহিত সাগর মিশরের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র এবং দেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ, যেখানে রাশিয়ান পর্যটকরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মিশরের এই উপকূলে পর্যটক দুর্ঘটনা নতুন নয়। গত নভেম্বরে, 'সি স্টোরি' নামে একটি প্রমোদতরী ডুবে গিয়ে ১১ জন মারা গিয়েছিল, এর মধ্যে একটি ব্রিটিশ দম্পতি ছিলেন।
এটি মিশরের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি বড় আঘাত, এবং কর্তৃপক্ষ এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সতর্কতা অবলম্বন করতে চলেছে।
সবার দেশ/কেএম