Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ২৮ মার্চ ২০২৫

প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ব্রিটিশ আমলের সেতু ধস

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ব্রিটিশ আমলের সেতু ধস
ছবি: সংগৃহীত

আজ, ২৮ মার্চ, মিয়ানমারে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলো ৭.৭। এই ভূমিকম্পের তীব্রতায় মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। বিশেষত, দেশটির ইরাবতী নদীতে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ৯১ বছর পুরনো আভা সেতু ধসে পড়েছে, যা পুরাতন সাগাইং সেতু নামে পরিচিত।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিলো মিয়ানমারের সাগাইং শহর, যা ম্যান্ডালয়ের কাছে অবস্থিত। এ অঞ্চলের মান্ডালায়, নাইপিদো এবং অন্যান্য এলাকায় অনেক ভবন ভেঙে পড়ে এবং রাস্তাঘাট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ভূমিকম্পের ফলে একাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানায়, আভা সেতুর ধ্বংসের ফলে পরিবহন যোগাযোগে বিপর্যয় ঘটেছে, বিশেষত সাগাইং ও মান্ডালয়ের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

ভূমিকম্পের তীব্রতার পরপরই দ্বিতীয় একটি ভূমিকম্পও আঘাত হানে, যার মাত্রা ছিল ৬.৪। প্রথম ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে এবং দ্বিতীয়টি ১টা ২ মিনিটে ঘটেছিলো। ভূমিকম্পের প্রভাব শুধু মিয়ানমারেই সীমাবদ্ধ ছিলো না, বরং প্রতিবেশী দেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে। থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, লাওস এবং চীনের বিভিন্ন অংশে এ ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এ ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়। ব্যাংকক পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হওয়ার পর, নির্মাণাধীন একটি ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও এক জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। কমপক্ষে ৮০ জন ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে। থাই আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুধু ব্যাংকক নয়, থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে।

এ ভূমিকম্পের ফলে সাগাইং সেতু এবং আশেপাশের অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিয়ানমারের উদ্ধারকারী দল এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধারকারীদের মতে, সেতু ধসে পড়ায় বহু মানুষ আটকা পড়েছেন এবং তাদের উদ্ধারে তীব্র প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উদ্ধারকারী দলকে মাঠে দেখা যাচ্ছে, যেন দ্রুত আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া যায়।

সবার দেশ/কেএম