Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৭, ৮ এপ্রিল ২০২৫

পাল্টা হুঁশিয়ারি চীনের

ট্রাম্প-শি শুল্কযুদ্ধে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি

বিশ্লেষকদের মতে, শুল্কযুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে। এতে করে বৈশ্বিক মন্দার সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে।

ট্রাম্প-শি শুল্কযুদ্ধে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি
ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শুল্কসংক্রান্ত দ্বন্দ্ব। পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি ও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকিতে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে বিশ্ববাণিজ্য কাঠামো। গত শুক্রবার চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করলে, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দেন—চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করবেন।

এর ফলে নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে মোট শুল্কহার দাঁড়াতে পারে ১০৪ শতাংশে—যা হবে দুই দেশের অর্থনীতির ওপর একটি বড় ধাক্কা এবং বিশ্ববাজারে দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতার কারণ।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের এ হুমকিকে ‘ভুলের পর ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনকে চাপ বা হুমকি দিয়ে কখনোই লাভ হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চীন শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।

এর আগে ২ এপ্রিল, যেদিনকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আখ্যা দেন ‘মুক্তির দিন’ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর আগে মার্চ মাসেও আরোপ করা হয়েছিলো ২০ শতাংশ শুল্ক। এ নিয়ে তিন ধাপে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হার দাঁড়াতে চলেছে ১০৪ শতাংশে।

হোয়াইট হাউসে সোমবার দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, চীন যদি তাদের পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমরা ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবো। আমরা এখন কোনও ধরনের ছাড় দেয়ার কথা ভাবছি না।

এদিকে, ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ একতরফাবাদী আচরণ আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান লঙ্ঘনের সামিল। এটি মূলত অর্থনৈতিক নিপীড়নের একটি চরম উদাহরণ। এটি'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতিতে চলার নামান্তর।

শুল্কসংক্রান্ত এ অনিশ্চয়তা বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। লন্ডনের FTSE 100 সূচক একদিনেই ৪ শতাংশের বেশি পড়ে গেছে। এশিয়ার বাজারে সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচকে, যা একদিনেই ১৩ শতাংশ পড়ে গেছে—১৯৯৭ সালের পর যা সর্বনিম্ন।

বিশ্লেষকদের মতে, শুল্কযুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে। এতে করে বৈশ্বিক মন্দার সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী এ পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। সবকিছু নির্ভর করছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার এ টানাপোড়েন কত দ্রুত রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে তার ওপর। সূত্র: বিবিসি 

সবার দেশ/কেএম