Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৩১, ১০ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ০০:৪৮, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ভাগ করে শাসন নয়, ওয়াকফ ইস্যুতে হুঁশিয়ারি মমতার

ওয়াকফ আইন সংশোধনীতে গররাজি মমতা

মমতা বলেন, আমি জানি ওয়াকফ আইন নিয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ ও চিন্তিত। বিশ্বাস রাখুন, বাংলায় কাউকে ভাগ করে শাসন করতে দেয়া হবে না। সংখ্যালঘুদের সম্পত্তির ওপর কেউ হাত দিতে পারবে না।

ওয়াকফ আইন সংশোধনীতে গররাজি মমতা
ফাইল ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন কার্যকর করতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার (৯ এপ্রিল) কলকাতার এক জৈন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানান। 

সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলায় এমন কিছু হবে না যা মানুষকে বিভক্ত করে, কিংবা কাউকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

মমতা বলেন, আমি জানি ওয়াকফ আইন নিয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ ও চিন্তিত। বিশ্বাস রাখুন, বাংলায় কাউকে ভাগ করে শাসন করতে দেয়া হবে না। সংখ্যালঘুদের সম্পত্তির ওপর কেউ হাত দিতে পারবে না।

এর আগে মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সে ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিল এ সময়ে পাস হওয়া উচিত হয়নি। এতে সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, যা অশুভ ইঙ্গিত দেয়।

প্রসঙ্গত, ৩ এপ্রিল ভারতের লোকসভায় এবং পরদিন রাজ্যসভায় বিতর্কিত ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি পাস হয়। সংশোধিত বিলে ওয়াকফ সম্পত্তি সংক্রান্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার ফলে রাজ্য সরকারগুলোর নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে হ্রাস পাবে। এর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকসহ একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

ওই আইন নিয়ে প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন চলছে। ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনগুলো বলছে, এ আইনের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ঐতিহাসিক সম্পত্তি দখলের পথ খুলে দেয়া হয়েছে।

সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে একাত্মতা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা সব ধর্ম, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকবো।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ অবস্থান সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের প্রতি স্পষ্ট বার্তা। এদিকে বিজেপি নেতারা মমতার বক্তব্যকে ‘আইন অমান্য করার স্পষ্ট ঘোষণা’ বলে মন্তব্য করেছেন।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে মুসলমান সম্প্রদায়ের সংখ্যা ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। তাদের অধিকাংশই ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর নির্ভরশীল। ফলে এ আইন নিয়ে উদ্বেগ শুধু রাজনৈতিক নয়, বাস্তব জীবনের ওপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সবার দেশ/কেএম