Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ঝাঁকে ঝাঁকে মার্কিন সামরিক বিমান নামছে ইসরায়েলে 

ঝাঁকে ঝাঁকে মার্কিন সামরিক বিমান নামছে ইসরায়েলে 
ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার আগুনে যেন ঘি ঢালছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে টানা ৯টি মার্কিন সামরিক পরিবহন বিমান অবতরণ করেছে—যেগুলো বোঝাই ছিল ‘বাংকার বাস্টার’ নামক ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী বোমা ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামে। 

তেলআবিবের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম 'কান'-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

জানা গেছে, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলীয় নেভাতিম বিমানঘাঁটিতেই ওই মার্কিন বিমানগুলো অবতরণ করেছে। প্রতিটি বিমানেই ছিল বিশেষায়িত ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা—যেগুলোর প্রধান লক্ষ্য ভূগর্ভস্থ বাংকার বা সুরক্ষিত সামরিক স্থাপনা। এ অস্ত্রের উপস্থিতি কোনও প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতির চেয়ে অনেক বেশি কিছু নির্দেশ করছে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।

গোপন যৌথ অভিযানের ইঙ্গিত?

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এমন এক সময় এ সামরিক জোটবদ্ধতা দেখাচ্ছে, যখন ইরানের সঙ্গে মার্কিন পরমাণু আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তেহরানের কূটনৈতিক অবস্থান আরও কঠোর হয়ে উঠছে, আর ওয়াশিংটন স্পষ্টতই বেছে নিচ্ছে ‘পাওয়ার প্রজেকশন’-এর পথ।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছে, এসব বোমা হঠাৎ করে কেবল ইসরায়েলি ঘাঁটিতে পাঠানো হচ্ছে না—বরং সম্ভাব্য ইরান হামলার প্রস্তুতি হিসেবেই এ ‘স্টকপাইলিং’। অর্থাৎ, আলোচনা ব্যর্থ হলে ওয়ার অপশন যেন আগে থেকেই টেবিলে থাকে।

এটি নিছক রুটিন ডেলিভারি নয়। এ অস্ত্র আসছে যুদ্ধের ভাষায় কথা বলার জন্য। — এক জ্যেষ্ঠ সামরিক বিশ্লেষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এমনটিই বলছেন।

য়াশিংটন এখনো নিশ্চুপ

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এ বিপুল সামরিক সরবরাহ নিয়ে এখনও কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন। এমনকি তেলআবিবের পক্ষ থেকেও নে কোনও প্রকাশ্য মন্তব্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ও ইসরায়েল একাধিকবার একে অপরকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যার ফলে এমন প্রস্তুতির পেছনে রাজনৈতিক ব্যাকড্রপ উপেক্ষা করা যাচ্ছে না।

নতুন সংঘাতের পথে বিশ্ব?

বিশ্ব যখন ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি সম্ভাব্য সংঘাত বিশ্বের কূটনৈতিক ভারসাম্যকে মারাত্মকভাবে নাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে, ইরান-ইসরায়েল সরাসরি যুদ্ধে জড়ালে এতে লেবানন, সিরিয়া, এমনকি রাশিয়া ও চীনকেও প্রভাবিত করতে পারে।

সবার দেশ/কেএম