ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত ৮০, আহত ১৭১

ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে মার্কিন বাহিনীর ব্যাপক বিমান হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে শনিবার (১৯ এপ্রিল) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে মার্কিন বাহিনী এ হামলা চালায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। হুথি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি জানান, নিহতদের মধ্যে রাস ইসা বন্দর পরিচালনাকারী সাফার ওয়েল কোম্পানি এবং ইয়েমেন পেট্রোলিয়াম কোম্পানির কর্মীরা রয়েছেন
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (CENTCOM) হতাহতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তারা জানিয়েছে, হুথিদের জ্বালানি ও অর্থের উৎস বিচ্ছিন্ন করতে এ হামলা চালানো হয়েছে। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, হুথিরা গত এক দশক ধরে ইয়েমেনের এ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে তারা লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে একাধিক ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে।
গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির সময় হুথিরা হামলা বন্ধ রাখলেও, ইসরায়েলের গাজায় পুনরায় হামলা শুরুর পর তারা লোহিত সাগরে জাহাজে আক্রমণের হুমকি দেয়। এর জবাবে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে হামলা শুরু করে। শুক্রবার হামলার পর হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি সানায় বিক্ষোভে বলেন, আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি ও আগ্রাসনের জবাবে আরও পাল্টা হামলা চালানো হবে।
ইয়েমেনের ৭০ শতাংশ আমদানি এবং ৮০ শতাংশ মানবিক সহায়তা রাস ইসা, হোদেইদা ও আস-সালিফ বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে। হামলার ফলে বন্দরের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যা জাতিসংঘের মতে দেশটির ‘গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিবর্তনীয়’ অবকাঠামো।
হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান ও ফিলিস্তিনের হামাস। ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধে গত ১০ বছরে দেশটির মানবিক সংকট তীব্রতর হয়েছে, যেখানে ১৫০,০০০ মানুষ নিহত এবং ১৯.৫ মিলিয়ন মানুষ সহায়তার প্রয়োজনে রয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা, ডয়চে ভেলে, বাসস
সবার দেশ/কেএম