পেহেলগামে নিহতরা গোপন সংস্থার সদস্য: টিআরএফ

কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে কাশ্মীরভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে টিআরএফ দাবি করেছে, নিহতরা সাধারণ পর্যটক নন, বরং ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত গোপন সংস্থার সদস্য, যারা পর্যটকের ছদ্মবেশে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। 

গোষ্ঠীটি এ হামলাকে ভারত সরকার ও তার ‘প্রশ্নবিদ্ধ নীতি’র সমর্থকদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করে কাশ্মীরে তাদের কার্যক্রম বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে। ভারত সরকার এখনো টিআরএফের এ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

আরও পড়ুন <<>> পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

হামলার পর বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে পাকিস্তানকে পরোক্ষভাবে দায়ী করে পাঁচটি কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে:

• সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত: ১৯৬০ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের স্বাক্ষরিত বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তান যতদিন সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না করবে, ততদিন এটি কার্যকর হবে না।

• ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ: অবিলম্বে সীমান্ত বন্ধ করা হবে। বৈধ নথিপত্রধারীরা ১ মে’র মধ্যে সীমান্ত পার হতে পারবেন।

• সার্ক ভিসা বাতিল: পাকিস্তানি নাগরিকদের সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিমের (এসভিইএস) আওতায় ভারতে ভ্রমণের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে এই ভিসায় ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।

• হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কার: নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে। ভারতও ইসলামাবাদ থেকে নিজেদের সামরিক উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করবে এবং এ পদগুলো বাতিল করা হয়েছে।

• হাইকমিশনের লোকবল হ্রাস: উভয় দেশের হাইকমিশনের লোকবল ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামানো হবে, যা ১ মে’র মধ্যে কার্যকর হবে।

এ সিদ্ধান্তগুলো ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সবার দেশ/কেএম